প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই সন্তান হত্যা!
পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে নিজ ছেলেকে হত্যা করে বাড্ডার সাঁতারকুল এলাকার বাসিন্দা জাহিদ।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান ডিসি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ।
ডিসি মোস্তাক আহমেদ জানান, গত ১৭ এপ্রিল রাতে টিউবওয়েলের পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় কিশোর আউসার (১২)। পরদিন সন্ধ্যায় বাড্ডার পূর্ব পরদীয়া এলাকা থেকে আউসারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আউসারের বাবা জাহিদ প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিন, আবদুল জলিলসহ কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হেলাল উদ্দিন ও জলিলের সঙ্গে পূর্বশত্রুতা ছিল জাহিদের। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে ছেলেকে হত্যার পরিকল্পনা করে জাহিদ। এ জন্য তারই প্রতিবেশী মজিদ নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে হত্যাকাণ্ডটি করায়।
জাহিদ ও মজিদ উভয়কেই আটক করেছে পুলিশ।
মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে জাহিদের পারিবারিক শত্রুতা ছিল। আর সিএনজিচালিত অটোরিকশা জমা বাবদ আটশ টাকা জমা না দেওয়ার কারণে আবদুল জলিলের সঙ্গেও শত্রুতা হয় জাহিদের।'
ডিসি মোস্তাক বলেন, ‘এ শত্রুতার জেরে নিজের সন্তান আউসারকে খুন করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে জাহিদ। জাহিদের পরিকল্পনা ও নির্দেশে শ্বাসরোধ ও ছুরিকাঘাত করে কিশোর আউসারকে হত্যা করে স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মজিদ।’
ডিসি বলেন, ‘গত ১৭ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১০টায় টিউবওয়েলে পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় কিশোর আউসার। পরদিন সন্ধ্যায় বাড্ডার পূর্ব পরদীয়ার একটি ধানক্ষেত থেকে আউসারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আউসারের বাবা জাহিদ কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করে।’
মোস্তাক বলেন, 'প্রযুক্তিগত সহায়তা ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য বিবেচনায় গত ২০ এপ্রিল মজিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাহিদের পরিকল্পনা ও নির্দেশে আউসারকে খুন করে বলে স্বীকারোক্তি দেয় মজিদ। পরে ২১ এপ্রিল আউসারের বাবা জাহিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়।’
মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পূর্বশত্রুতার জেরে হেলাল ও জলিলকে ফাঁসাতে ছেলেকে হত্যার পরিকল্পনা করেন জাহিদ। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন একটি ছুরিও কেনেন তিনি। এরপর রাতে আউসারকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ এবং ছুরিকাঘাত করে খুন করেন মজিদ।’