চলতি বৈশাখ মাসে আবারো কালবৈশাখীর কবলে পড়ল রাজধানীবাসী। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকায় প্রচণ্ড ঝড় শুরু হয়। 

এর আগে বিকেল থেকেই আকাশে মেঘের ঘনঘটা থাকলেও সন্ধ্যা নাগাদ ঝড়ের সৃষ্টি হয়। সঙ্গে ছিল প্রবল বৃষ্টি।

এদিকে আকস্মিক ঝড়ে বিপদে পড়েন অফিস ফেরত নগরবাসী। ঝড়ের তোড়ে রাস্তায় বা খোলা জায়গায় দাঁড়ানোই যাচ্ছিল না। ফলে ভিজে একাকার হতে হয় বাড়ি ফেরার জন্য রাজপথে নামা সাধারণ মানুষকে।

আতঙ্কিত মানুষ আশ্রয়ের জন্য এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। যারা বাসাবাড়িতে ছিলেন তারাও দরজা-জানালা আটকে বাইরে থাকা প্রিয়জনের খবর নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

তবে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে কালবৈশাখীর কোনো সতর্কবার্তা দেখা যায়নি।

সবশেষ আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দুই এক জায়গায় বিজলী চমকানোর সঙ্গে অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কাও করা হয়েছিল।

সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আজ ঢাকায় কালবৈশাখীর সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার। তবে কী পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে সেটি এখনো মাপা হয়নি বলে জানান তিনি। 

এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায়ও রাজধানীতে ঝড়-বৃষ্টি হয়। সেদিন ঝড়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ে।