সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার সেনাবাহিনীর উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে অত্যন্ত আন্তরিক।’ জাতিসংঘ মিশনসহ দেশবিদেশে সেনাবাহিনীর সফলতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দ্রুত ও সমন্বিত আধুনিকায়নের ফলে সেনাবাহিনী আরো এগিয়ে যাবে।’ 

আজ রোববার সিলেটে নবগঠিত ১৭ পতাদিক ডিভিশনের অধীনস্থ পাঁচটি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে একথা বলেন জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক। 

সেনাপ্রধান বলেন, ‘১৭ পতাদিক ডিভিশনের নবগঠিত পাঁচটি ইউনিটের নবযাত্রার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উন্নয়ন রূপকল্প ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর বাস্তবায়নের পথে আরেকটি মাইলফলক সংযোজিত হলো।’

জেনারেল শফিউল হক বলেন, ‘২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের উদ্বোধন করেন। এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অষ্টম পূর্ণাঙ্গ ডিভিশন।’

সেনাপ্রধান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সেনাবাহিনী দেশমাতৃকার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্ত্র প্রহরী হয়ে কাজ করছে। এ বাহিনীতে কর্মরতদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুশৃঙ্খল, দক্ষ ও যোগ্য সেনাসদস্য হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার আন্তরিক। সরকারের সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুশৃঙ্খল, দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বে দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জিত হয়েছে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ বাহিনীর সদস্যরা উর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারষ্পারিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা বজায় রেখে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘বর্তমান সরকার সেনাবাহিনী ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করেছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার সিলেটে ১৭ পদাতিক ডিভিশন, পটুয়াখালীতে ৭ পদাতিক ডিভিশন, রামুতে ১০ পদাতিক ডিভিশন এবং পদ্মাসেতু বাস্তবায়নের নিরাপত্তা ও তদারকির জন্য একটি ব্রিগেড প্রতিষ্ঠা করেছে। 

সেনাপ্রধানসহ ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান, অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি কমান্ডেন্ট মেজর জেনারেল শেখ মামুন খালেদ, মাস্টার জেনারেল অব অর্ডনেন্স মেজর জেনারেল মো. আবু সাঈদ সিদ্দিক ৬৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ৪০ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট, ১৫৫ ফিল্ড ওয়ার্কশপ কোম্পানী, ১২৫ ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানী ও ১৭ ইন্ডিপেন্ডেন্ট এ্যামুনিশন প্লাটুন (আইএপি) এই পাঁচটি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করেন। 

সকাল সোয়া ১১টার দিকে সেনাপ্রধান অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় প্যারেড কমান্ডার মেজর তামজীদের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে সালাম প্রদান করে। অনুষ্ঠান শেষে সেনাপ্রধান প্রীতিভোজে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. নাজমানারা খানুম, উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. কামরুল আহসান, সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া, র‌্যাব-৯ এর অধিনায়কসহ সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।