ডিআইজি মিজানুর রহমানকে দুদকের তলব
অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীর পাঠানো তলবি নোটিশে ডিআইজি মিজানুর রহমানকে আগামী ৩ মে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘নামে-বেনামে ডিআইজি মিজানের শতকোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ আছে দুদকের কাছে। সেই অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের অংশ হিসেবে দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে ১০ ফেব্রুয়ারি অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।’
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এর আগেও ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করেছিল দুদক। কিন্তু তখন তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগটি নথিভুক্ত করা হয়েছিল। তবে এবার নতুন করে অনুসন্ধানে তাঁর চাকরিজীবনে যাবতীয় আয়-ব্যয়, এনবিআরে দেওয়া সম্পদের তথ্য, নারীঘটিত বিষয়ে অর্থ খরচের পেছনে টাকার উৎস, বিদেশে পরিবার-পরিজনের জন্য পাঠানো অর্থসহ পুরো বিষয় অনুসন্ধানের আওতায় আনা হচ্ছে।
দুদক জানায়, ডিআইজি মিজান পুলিশের উচ্চ পদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। চাকরিজীবনে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা উপায়ে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তাঁর নামে-বেনামে বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমি রয়েছে। একাধিক ব্যাংক হিসাবে রয়েছে বিপুল অর্থ। এমনকি দেশের বাইরে অর্থ পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
ডিআইজি মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত জানুয়ারি মাসে তাঁকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।