শিশু তামিমের পর চলে গেলেন মাও
রাজধানীর মিরপুরের একটি বাসায় অগ্নিকাণ্ডে শিশু তামিমের পর তার মা মিনা বেগমও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর মিরপুরে একটি পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হন।
তিনজনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আনা হয়। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সাত মাসের শিশু তামিম মারা যায়। আজ বুধবার দুপুর ২টার দিকে মারা যান তামিমের মা মিনা বেগম (২৮)।
তামিমের বাবা মানিক মিয়া (৩৫) এখন বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মানিক মিয়ার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
মিরপুরের ১১ নম্বর সেকশনের এ ব্লকের ৪ নম্বর রোডের পাঁচতলা বাসার নিচ তলায় থাকত মানিক ও তাঁর পরিবার।
অগ্নিকাণ্ডের খবর সংবাদ শুনে ওই পরিবারের স্বজনরা ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ছুটে যান। মিনার ভাবী শামিমা খাতুন জানান, সকালের দিকে সংবাদ পেয়ে ময়মনসিংহ থেকে মিনার মা আমিনা খাতুনসহ অন্যান্য স্বজনরা ছুটে আসেন। দুপুরে এসে তাঁরা মিনার মৃত্যুর সংবাদ পান।
দুপুর সোয়া ২টার দিকে বার্ন ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউ) থাকা মিনাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল জানান, মিনার শরীরের ৮৫ শতাংশই পুড়ে যায়।
পাঁচ বছর আগে মালেকের সঙ্গে মিনার বিয়ে হয়। তামিম তাঁদের প্রথম সন্তান। তাঁদের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা গ্রামে।
মিরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আরেফিন জানান, ধারণা করা হচ্ছে, বাসার গ্যাস পাইপলাইন লিকেজ থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দগ্ধ মানিক জানান, বাসার ভেতরেই পানির মোটর ও রিজার্ভ ট্যাংকি। রাতে মোটরের সুইচ অন করার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরিত হয়ে বাসার ভেতর আগুন ছড়িয়ে পড়ে।