জেএসএস-ইউপিডিএফ নিষিদ্ধের দাবিতে হরতালের ডাক
পাহাড়িদের আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) রাজনীতি নিষিদ্ধ করাসহ তিন দফা দাবিতে তিন পার্বত্য জেলায় ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে বাঙালিদের দুটি সংগঠন।
পাহাড়ের বাঙালিদের সংগঠন পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদ তিন পার্বত্য জেলা বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে আগামী সোম ও মঙ্গলবার ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত ফরাজি সাকিব এবং পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংগঠন দুটির তিন দফা দাবির মধ্যে আরো আছে- গত ১৬ এপ্রিল খাগড়াছড়ি উপজেলার মহালছড়ি থেকে মাটিরাঙার বাসিন্দা তিন বাঙালি যুবককে জীবিত উদ্ধার, গতকাল ৪ মে রাঙামাটিতে সশস্ত্র হামলায় নিহত মাইক্রোবাসচালক সজীব হাওলাদারের খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি।
এ ছাড়া এই তিন দফা দাবিতে আগামীকাল রোববার তিন পার্বত্য জেলায় কালো পতাকা মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠন দুটি।
পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত ফরাজি সাকিব জানিয়েছেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক দল জনসংহতি সমিতি, ইউপিডিএফসহ আঞ্চলিক দলগুলোর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কাছে পাহাড়ের মানুষ আহ অসহায়। তাদের অব্যাহত সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও হত্যার কারণে পাহাড়ের মানুষের জীবন আজ জিম্মি। তাই এদের সন্ত্রাসী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে আমরা কর্মসূচি পালন করছি। এই হরতাল পার্বত্য তিন জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে পালিত হবে।’
গত ১৬ এপ্রিল মহালছড়ি বাজারে কাঠ কিনতে গিয়ে মাটিরাঙার উপজেলার নতুনপাড়া এলাকার মো. খোরশেদ আলমের ছেলে মো. সালাহ উদ্দিন (২৮), মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মহরম আলী (২৭) ও আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা ট্রাকচালক বাহার মিয়া (২৭) নিখোঁজ হন। গত ২০ দিনেও তাঁদের কোনো সন্ধান মেলেনি। এর প্রতিবাদে গত ২৩ এপ্রিলও খাগড়াছড়িতে হরতাল পালন করে বাঙালি সংগঠনগুলো।
অন্যদিকে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের কেরেঙ্গাছড়ি এলাকায় গতকাল শুক্রবার সন্ত্রাসী হামলায় নিহত নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্যে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ব্রাশফায়ারে নিহত হন মাইক্রোবাসচালক সজীব হাওলাদারসহ পাঁচজন।
তথ্য মতে, গত পাঁচ মাসে পাহাড়ে ১৮ জন নিহত হয়েছে। এ জন্য আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলো একে অপরকে দোষারোপ করছে।