পাওনা ৩০ টাকা না দেওয়ায় লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা!
গাঁজার কেনার ৩০ টাকা দিতে না চাওয়ায় এক রিকশাচালককে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছেন এক সুইপার। গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন দিনি।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে জয়পুরহাট শহরের কেন্দ্রীয় বারোয়ারী ও কালী মন্দিরের পাশে রেলওয়ে বস্তিতে হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত রিকশাচালকের নাম সন্টু কুমার দাস (২৩)। অভিযুক্ত সুইপারের নাম জয়দেব হরিজন ওরফে জয়।
জানা গেছে, সন্টু জয়পুরহাট শহরের সোনারপট্টির কুন্ডুপাড়ার বাসিন্দা। তিনি নিয়মিত রেলওয়ে বস্তির সুইপারপট্টিতে গাঁজা সেবন করতেন। বাকিতে কেনা গাঁজার ৩০ টাকা পরিশোধ না করায় তাঁকে হত্যা করেন জয়দেব হরিজন।
আজ বুধবার ভোর রাতে জয়পুরহাট রেলবস্তির সুইপারপট্টিতে অভিযান চালিয়ে জয়দেব হরিজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জয়দেব হরিজনের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে জয়পুরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মমিনুল হক জানান, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে রিকশাচালক সন্টুকে ডেকে নিয়ে যান জয়দেব হরিজন। এরপর পাওনা ৩০ টাকা দাবি করলে সন্টু সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে বাঁশের সুঁচালো একটি লাঠি দিয়ে সন্টুর বাম পাঁজরে কয়েকবার আঘাত করেন জয়দেব। এতে মারাত্মক আহত হন সন্টু। ওই সময় সন্টুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে। এরপর সন্টুকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজ বুধবার সন্টুর বড় ভাই আনন্দ কুমার দাস বাদী হয়ে জয়দেব হরিজন ওরফে জয়কে আসামি করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। এরপর আসামি জয়কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। বিকেলে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত নেওয়া হয়। এ সময় বিচারক ইকবাল বাহারের আদালতে রিকশাচালক সন্টুকে নিজে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন জয়দেব। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।