‘সাক্ষীদের নির্যাতনকারীও যুদ্ধাপরাধী, তাদেরও বিচার হবে’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা হত্যাকাণ্ড এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিধানে সচেষ্ট থাকার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যদি কেউ সাক্ষীদের নির্যাতন বা অত্যাচার করে তাহলে তারাও যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচারের সম্মুখীন হবে এবং তাদেরও একেবারে ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার গণভবনে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে নেতাকর্মীরা গণভবনে তাঁকে (শেখ হাসিনা) শুভেচ্ছা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা হত্যার বিচার করেছি, কিন্তু ষড়যন্ত্রের বিচার তো আর হয়নি, তদন্ত হয়নি। এটা হচ্ছে বাস্তবতা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার করছি এবং এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে গিয়ে যারা সাক্ষী দিয়েছে তাদের ওপরও কিন্তু অনেক সময় অত্যাচার হয়েছে। কাজেই যার যার এলাকায় এটাও আমাদের একটু নজরে রাখতে হবে যারা সাক্ষী দিয়েছে তাদের ওপর কেউ যেন অত্যাচার করতে না পারে।’
প্রথমে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় অন্যদের মধ্যে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং তোফায়েল আহমেদ, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী ও সাহারা খাতুন, দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দিপু মনিসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর একে একে প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, আওয়ামী যুব লীগ, ছাত্রলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, যুব মহিলা লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, তাঁতি লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এবং মহিলা শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরা শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রীকে।