‘দুই পক্ষই চায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন দ্রুত শেষ হোক’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেছেন, ‘প্রত্যাবাসন সবসময়ই একটি জটিল প্রক্রিয়া। তবে দুই পক্ষই চায় কাজটি খুব দ্রুত শেষ হোক।’
আর মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব ইউ মিন্ট থো বলেছেন, ‘মিয়ানমারের জনগণের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে নিকট ভবিষ্যতে তারা এই প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারবেন।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের দ্বিতীয় বৈঠক আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। অন্যদিকে মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন সে দেশের পররাষ্ট্র সচিব ইউ মিন্ট থো। প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক শেষে দুই পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানান, ‘দুই দেশের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। যেসব বিষয়ে অসুবিধা আছে সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। আশা করি আমরা এগুলো দূরীভূত করতে পারব।’
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব ইউ মিন্ট থো বলেন, ‘প্রত্যাবাসন যেন দ্রুত শুরু করা যায় সেজন্যই আমরা ঢাকায় এসেছি। চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রক্রিয়াকে আরো ত্বরান্বিত করতে দুই দেশ এক সঙ্গে কাজ করছে।’
গত জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত প্রথম বৈঠকে রোহিঙ্গাদের যে তালিকা মিয়ানমারের কাছে দেওয়া হয়েছিল এই বৈঠকে তার বাইরে আর কোনো তালিকা হস্তান্তর করা হয়নি বলে জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে গত বছর আগস্ট মাসে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। কক্সবাজার ও বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সরকারি হিসেবে দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ৯ লাখেরও বেশি। কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের জন্য করা হয়েছে একাধিক আশ্রয়কেন্দ্র।