টেঁটাযুদ্ধ আর নয়, মিলনমেলায় গ্রামবাসী
নরসিংদীর সদর উপজেলার চরাঞ্চল করিমপুরে টেঁটাযুদ্ধ নিরসনের জন্য ভিন্ন রকম এক মিলনমেলার আয়োজন করা হলো। এ সময় পুলিশ সুপারের হাতে প্রায় এক হাজার টেঁটা তুলে দিয়ে নিজেদের শান্তির দূত হিসেবে সমর্পণ করে গ্রামবাসী।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের উদ্যোগে করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) মাঠে এই মেলার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন করিমপুর ইউপির চেয়ারম্যান হারিছ মিয়া। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জাকির হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহারিয়ার আলম পলাশ, নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুজ্জামান, সাবেক চেয়ারম্যান সফিউল আলম বাচ্চু, টেঁটাযুদ্ধের মমিন বাহিনীর প্রধান মমিন মিয়া, অপর বাহিনীর প্রধান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মিয়া।
অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুনের হাতে প্রায় এক হাজার টেঁটা তুলে দিয়ে টেঁটাযুদ্ধ না করার শপথ নেয় উভয়পক্ষ।
গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুই বছরে করিমপুর ইউনিয়নের রসুলপুর, শুঁটকিকান্দা ও ঈদগাঁহপাড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একাধিকবার টেঁটাযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এই টেঁটাযুদ্ধ বাধে মমিন বাহিনী ও জাহাঙ্গীর মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে। এতে একজন নিহত ও শতাধিক লোক আহত হয়। এ ছাড়া গ্রামছাড়া হয়েছে কয়েকশ লোক।
এর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হীরু এই বিবাদ নিরসনের উদ্যোগ নেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ এপ্রিল স্থানীয় করিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সমাবেশে প্রতিমন্ত্রী উভয়পক্ষের নেতাকে সংঘাতবিরোধী শপথ বাক্য পাঠ করান। কিন্তু এর পরের দিনই আবার দুই পক্ষ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এরপর উভয়পক্ষের শীর্ষ দুই নেতা মমিন মিয়া ও জাহাঙ্গীর মিয়াকে আটক করে পুলিশ। পরে জেলার শীর্ষ নেতাদের মধ্যস্থতায় তাঁরা টেঁটাযুদ্ধ নিরসনে সম্মত হলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।