একের পর এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোয় খালেদা জিয়ার ক্ষোভ
একের পর এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার আইনি বিষয় নিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এমন তথ্য দিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা।
পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দীন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁর আইনজীবী প্যানেলের চার সদস্য। সাক্ষাতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা কীভাবে আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আপিল বিভাগ জামিন বহাল রাখায় সন্তোষ জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। তবে একের পর এক পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ তিনি। আইনজীবী খন্দকার মাহবুব মনে করেন, সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া শুধু আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব নয়।
খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ম্যাডাম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যে আমাকে এইভাবে, অন্যায়ভাবে কতগুলো মিথ্যা মামলা দিয়ে এখনো আটকিয়ে রাখা হয়েছে। সরকারের যদি সদিচ্ছা না থাকে তাহলে ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে আইনের দ্বারা বের করা সম্ভব হবে না। কারণ একের পর এক মামলায় তাঁকে জড়িত করা হবে। ১৪ এবং ১৫ সালের যে মামলাগুলো ছিল হরতালের সময়, তাঁর ৩৫টি মামলা আছে। সেখানে ম্যাডামের কোনো সম্পৃক্ততা নাই। ম্যাডামের নাম নাই। কিন্তু চার্জশিট দেওয়ার সময় তাঁর নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। এ মামলার অপর আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানাও করা হয়। ওই রায়ের দিন থেকে কারাগারে বন্দি খালেদা জিয়া।
পরে ১২ মার্চ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
গতকাল বুধবার ওই আদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এদিকে আজ মানহানির দুই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম ও ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব।