মোংলায় গাঁজা সেবনে বাধা দেওয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার কানাইনগর এলাকায় এক যুবককে গাঁজাসেবনে বাধা দেওয়ায় স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে এ সংঘর্ষ হয়। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও গ্রামবাসী জানায়, মোংলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাইনগর আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা আলমগীরের বাড়িতে ঢুকে সাগর নামের স্থানীয় এক যুবক ও তার দলবল গাঁজা সেবন করছিল। বাড়ির লোকজন ঘরের আঙিনায় দাঁড়িয়ে বখাটেদের গাঁজা সেবনে বাধা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় সাগর ও তার সহযোগীরা। পরে আলমগীর তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেন।
সাগরকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনাটি শুনতে পেরে তার দাদা সাবেক ইউপি সদস্য সুলতান ও সাগরের চাচা জাকিরের নেতৃত্বে একদল লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে আলমগীর ও তাঁর পরিবারের ওপর হামলা চালায়। পরে আলমগীরের শ্বশুর মজিদ লোকজন নিয়ে সুলতান-জাকির পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আহতদের মধ্যে পারুল (৩৬), কমলা বেগম (৩৪), আনোয়ার (৩৮), অহিদুল (৩৮), মুনসুর (৫০), খোকন (৪০), মিনি বেগম (৩০), আখি বেগম (২৬), সুমন (১৫), নয়ন (২৭), নজরুল (৩৫), নোনা (২৬), বেল্লাল (৩৬), রাজু (২৬), মোস্তাক (৩৫),অহিদুল (৩০), রিনাবেগম (২৮), ইয়াছমিন (২৬), ছাহেরা বেগম (৬৭), বেবি বেগম (৪০), নুরজাহান (৭০), নয়ন মুন্সি (৩৫) ও বাবলু হাওলাদারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে । আহতদের মধ্যে আলমগীর ও বিলকিসকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সেলিম বলেন, মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় সুলতান মেম্বার ও জাকির গ্রুপের লোকজন গ্রামের নিরীহ লোকজনের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে মজিদের জামাই ও মেয়েসহ অনেকেই গুরুতর জখম হয়েছে, কারো হাত ভেঙেছে, কারো মাথা ফেটেছে। এ ঘটনায় থানায় পরস্পরবিরোধী অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে থানায় কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করেনি।