মনোনয়ন প্রত্যাশীর পক্ষে প্রচার চালানোয় মাথা ন্যাড়া!
লন্ডনপ্রবাসী যুবলীগের নেতা প্রকৌশলী তুহিন আহাম্মদ খানকে সমর্থন করে তাঁর পক্ষে প্রচার চালানোর অপরাধে নেত্রকোনায় ছাত্রলীগকর্মী স্বপন চন্দ্র দাসের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে স্বপন চন্দ্র দাস রোববার বাদী হয়ে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মাসুদ আলম টিপু, বুলবুল, জাহাঙ্গীর, ফেরদৌসসহ ১০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নেত্রকোনার বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করেছেন।
আসামিরা সবাই নেত্রকোনা ৫ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের (বীর প্রতীক) কর্মী-সমর্থক।
এ ছাড়া স্বপন চন্দ্র দাস ন্যায়বিচার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নেত্রকোনা ৫ (পূর্বধলা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে লন্ডনপ্রবাসী প্রকৌশলী তুহিন আহম্মেদ খান এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশ শুরু করেছেন। এরই মধ্যে দলের একাংশের নেতাকর্মীরা তাঁকে সমর্থন দিচ্ছেন। ছাত্রলীগকর্মী স্বপন চন্দ্র দাসও তুহিন খানের সমর্থক হয়ে এলাকায় কাজ শুরু করেছেন।
এতে আওয়ামী লীগদলীয় বর্তমান সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের কর্মী-সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে তুহিন খানের লোকজনের কাজে বাধা দিচ্ছেন। রোজার প্রথম দিন গত শুক্রবার তুহিন খান তাঁর নিজ বাড়ি খলিশাউড় খানপাড়ায় একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করেন। এতে যোগদানের জন্য ছাত্রলীগকর্মী স্বপন চন্দ্র দাসসহ কয়েকজন নেতাকর্মী ইজিবাইকে করে চৌরাস্তা মোড়ে পৌঁছালে এমপি সমর্থক মাসুদ আলম টিপুর নির্দেশে মামলার অন্য আসামিরা ইজিবাইকের গতিরোধ করে তাঁদের তুহিন খানের বাড়িতে যেতে নিষেধ করেন।
এ সময় ছাত্রলীগকর্মী স্বপন ইফতার পার্টিতে যাওয়ার কথা বললে তারা তাঁকে গালিগালাজ করে এবং শার্টের কলার ধরে সড়কের পাশে একটি দোকানের পেছনে নিয়ে যায়। এরপর তাঁকে বেধড়ক মারধর করে মাথা ন্যাড়া করে ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে পূর্বধলা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদ আলম টিপুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের কেউ ওই ছেলেকে মারধর কিংবা মাথা ন্যাড়া করে দেয়নি। তুহিন আহাম্মদ খানের লোকজন কয়েকদিন পরপর আমাদের লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমাদের ও এমপি সাহেবের বদনাম করতে চায়।’