খুলনায় স্থগিত তিন ভোটকেন্দ্র নিয়ে তদন্ত শুরু
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের স্থগিত হয়ে যাওয়া তিন ভোট কেন্দ্র নিয়ে শুনানি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। যা চলবে আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান ইসির যুগ্ম সচিব খোন্দকার মিজানুর রহমান।
খোন্দকার মিজানুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘স্থগিত হয়ে যাওয়া ওই তিন কেন্দ্রের ভোট সংশ্লিষ্ট যারা ছিল সবাইকে নিয়ে আমরা আজ সকাল ১০টা থেকে হিয়ারিংয়ে (শুনানি) বসেছি। আমরা তাদের কথা শুনছি। নির্বাচনের দিন ওই তিন কেন্দ্রের পুরো পরিস্থিতি বোঝার জন্য আমরা তাদের কথা শুনছি। আমরাও প্রশ্ন করছি, তারা উত্তর দিচ্ছে।’
মিজানুর রহমান আরো বলেন, ‘আমরা স্থগিত হয়ে যাওয়া কেন্দ্রগুলোর বিষয়ে যাবতীয় খোঁজ-খবর নিচ্ছি। তবে এখন থেকে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত দেব না। যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ শেষে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে গিয়ে জমা দেব। এরপর কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে কী করবে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত শুনানি চলবে। এরপর আগামীকাল সকাল থেকে আবারও হিয়ারিং শুরু হবে, যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আমরা তাড়াহুড়া করব না। যদি দুই দিনের বেশি সময় লাগে তবে আমরা সময় নিতে চাই।’
দুই দিনই যদি স্থগিত হয়ে যাওয়া কেন্দ্র নিয়ে শুনানি করেন, তাহলে বাকি পরিস্থিতির তদন্ত করবেন কখন- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির যুগ্ম সচিব বলেন, ‘আপাতত আমাদের তিনজনকে এই তিন কেন্দ্রের ভোট পরিস্থিতি তদন্ত করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরপরে যদি কমিশন আমাদের আরো দায়িত্ব দেয় তবে আমরা সেই দায়িত্বও পালন করব। তবে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে আরো একটি টিম আসতে পারে।’
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘তিনটি ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা, ওই ওয়ার্ডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্ত শেষে আমরা কমিশনে রিপোর্ট পাঠাব। তারপর কমিশন বাকিটা সিদ্ধান্ত নেবে।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘স্থগিত হয়ে যাওয়া ওই তিন কেন্দ্রে আগামী ৩০ মে ভোটগ্রহণ করা হবে। এর ভেতরে তদন্ত কমিটি একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে।’
তদন্ত কমিটির তিন সদস্য হলেন ইসির যুগ্ম সচিব খোন্দকার মিজানুর রহমান, উপসচিব ফরহাদ হোসেন ও সিনিয়র সহকারী সচিব শাহ আলম।
গত ১৫ মে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন চলাকালে অনিয়ম ও ভোট জালিয়াতির কারণে তিন কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রগুলো হলো- ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইকবাল নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় (একাডেমিক ভবন-২), ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের লবণচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় কেন্দ্র।