বাঙালি নারীর চিরন্তন পছন্দের পোশাক শাড়ি। আর এই পছন্দের তালিকায় নিঃসন্দেহে উপরের দিকেই থাকে তাঁত বা জামদানি শাড়ির নাম।

আর এই পছন্দের তাঁতের শাড়িতে যদি ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গে নতুনত্ব পাওয়া যায়, কেমন হয়?

অন্যান্য পোশাকের মতো এবারের ঈদে ঐতিহ্যবাহী তাঁতের শাড়িতেও লেগেছে ফ্যাশনের হাওয়া। শাড়ির বুনন, রঙ থেকে শুরু করে সবকিছুতেই এসেছে নতুনত্ব। তাই, এবারকার শাড়ির আয়োজন অনেক নারীকেই শাড়ি কিনতে আগ্রহী করে তুলবে।

ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর ছোট বড় সব শপিং মলগুলো ভরে উঠেছে হাল ফ্যাশনের নতুন নতুন শাড়িতে।

এমন একটি শপিং মলে শাড়ি কিনতে আসা এক নারীর সঙ্গে কথা হয় এনটিভির। তিনি বলেন, ‘তাঁতের শাড়িটা অনেক ভাল, পরে মজা। সবকিছুই। ঈদেও পড়তে পারব, কোনো অনুষ্ঠানেও পড়তে পারব। সব বয়সী নারীরাই তাঁতের শাড়িটা পরতে পারি। অনেক কালারফুলও আছে। আবার বয়স্কদেরও আছে। আমি যেমন, আমার মায়ের জন্যে দেখতে এসেছি।’

আরেক নারী বলেন, ‘আমাদের দেশি যে পণ্যগুলো আছে, সেগুলো আমার বেশি পছন্দ। যেমন, টাঙ্গাইলের জামদানি বা সিল্ক। এই টাইপ আমি বেশি পছন্দ করি। তাঁতের শাড়িটা অনেক ভাল, পরে মজা। সব কিছুই। ঈদেও পড়তে পারব, কোনো অনুষ্ঠানেও পড়তে পারব।’

কর্মজীবী এক নারী এসেছিলেন শাড়ি কিনতে। বললেন, ‘এখন যে গ্রীষ্মকাল, এই সময়টাতে সুতি শাড়ির প্রতিই নির্ভরশীল আমরা। তাঁতের শাড়ি আসলে সব সময়ই পড়া যায়। বিশেষ করে আমরা যারা সার্ভিস হোল্ডার, আমাদের ইউনিফর্মই শাড়ি।’

আর শুধু নারী নয়, বাজারে পুরুষ শাড়ি ক্রেতাও কম নয়। শাড়ি কিনতে আসা এমনই এক ক্রেতা বললেন, ‘আমি আসলে গিফট দিব। আমার এক ইন্ডিয়ান রিলেটিভকে। সবারই টাঙ্গাইল শাড়ির প্রতি একটা দুর্বলতা আছে।’

সবকিছু মিলিয়ে আশা করা যায়, জীবনের প্রতিটি পরতে জড়িয়ে থাকা এই পরিধানটিকে অন্যরকম করে অনুভব করার মধ্য দিয়েই সার্থক হয়ে উঠবে এবারের ঈদ উৎসব।