শিক্ষক নিয়োগে নকল সরবরাহ, অধ্যক্ষসহ ১৯ জন গ্রেপ্তার
পাবনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করার অভিযোগে সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন কলেজের চার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে প্রশাসন।
এ ছাড়া, অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে কমপক্ষে ১৫ পরীক্ষার্থীকে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসসহ আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে।
আজ সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ কেন্দ্র থেকে অধ্যক্ষ ও শিক্ষকসহ আটজন, পাবনা জেলা স্কুল কেন্দ্র থেকে দুজন, শহীদ ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে দুজন, পাবনা ইসলামিয়া কলেজ কেন্দ্র থেকে পাঁচজন ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্র থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শনিবার জেলার বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পাবনা সদর থানায় নেওয়া হয়। পাবনার জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় নকলের বিরুদ্ধে সকাল থেকেই কঠোর অবস্থানে ছিল জেলা প্রশাসন। মোট ২৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে ছিলেন। পরিদর্শনকালে অসদুপায় অবলম্বন করায় পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন ডিভাইস ও নকলের উপকরণসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। এ ছাড়া সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিমসহ কয়েকজন পরিদর্শককে নকলে সহায়তার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পাবনা সদর থানায় আনা হয়েছে। তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
পাবনা সদর থানা সূত্রে জানা যায়, প্রশাসনের নির্দেশে আটককৃত শিক্ষকরা হলেন অধ্যক্ষ রেজাউল করিম, প্রভাষক আব্দুল হক, শামীম হোসেন ও ইকবাল হোসেন।
পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেককে ১৫ দিন করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত ইসলাম। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
সূত্র জানায়, পাবনার সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিমসহ একটি সিন্ডিকেট প্রতিজনের কাছ থেকে পাঁচ লাখ করে টাকা নিয়ে নকল করার সুযোগ দেন। তিনি নিজেই নকল সরবরাহ করছিলেন। এ সময় কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে বাধা দিলে উল্টো তাঁর ওপর চড়াও হন। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাত ৮টা পর্যন্ত ওই অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষক পাবনা থানায় ছিলেন। অন্যদের জেলখানায় পাঠানো হয়েছে।