আশুগঞ্জে প্রি-পেইড মিটারে টাকা দিতে গ্রাহকদের ভোগান্তি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটারে টাকা জমা দিতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে টাকা দিতে হচ্ছে তাদের। ঘটছে ধস্তাধস্তির ঘটনা।
আশুগঞ্জ আবাসিক বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিস সূত্রে জানা যায়, আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসে টাকা দিতে আসেন গ্রাহকরা। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকদের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। ৪০০ থেকে ৫০০ লোকের সমাগম হয়। এ সময় নারীদের সারিও দীর্ঘ হয়ে যায়। দুপুর পৌনে ১১টায় গ্রাহকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এতে টাকা জমা দেওয়ার নারীদের কাউন্টারের গ্লাস ভেঙে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশকে খবর দেয় আশুগঞ্জ আবাসিক বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিস। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বেলা সাড়ে ১১টায়।
গ্রাহকরা বলছেন, বিদ্যুৎ অফিস টাকা জমা দিতে এসে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় চলে যায়। রোজার দিনে তারা সংসারের বাকি কাজ কিভাবে করবেন। তারা বলেন, দ্রুত মোবাইলে রিচার্জের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়ার ব্যবস্থা হোক। অন্যথায় পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।
উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের উজ্জ্বল মিয়া বলেন, ‘সকাল ৯টায় বিদ্যুৎ অফিসে এসে সাড়ে ১২টায় টাকা জমা দিতে পেরেছি। এই যদি হয় অবস্থা তাহলে আমাদের যাওয়ার আর জায়গা নাই। আমরা এ করুণ অবস্থার দ্রুত উন্নতি চাই। তাছাড়া মানুষ রোজার দিনে হয়রানির শিকার হতে চায় না।’
আশুগঞ্জ আবাসিক বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ অফিসের অধীনে প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক আছে। এর মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটার সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এক জায়গা থেকে এত গ্রাহককে সেবা দেওয়া কষ্টকর। এই কথা মাথায় রেখে আমরা রবি ও এয়ারটেলের সঙ্গে চুক্তি করে প্রি-পেইড মিটারে টাকা রিচার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েকদিন ধরে প্রি-পেইড মিটারের সফ্টওয়্যার আপগ্রেড করার কারণে রবি ও এয়ারটেলের মোবাইলে রিচার্জ করতে সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে। তাছাড়া আমরা আমাদের টাকা জমা নেওয়ার বুথের সংখ্যা তিনটি থেকে বৃদ্ধি করে ছয়টিতে উন্নীত করা হচ্ছে।