তৃতীয় বিয়ের জন্য কিশোরীকে ‘ফুসলানোর’ অভিযোগ
রহিম সানা পেশায় ভ্যানচালক। বয়স চল্লিশ। আগে দুইবার বিয়ে করেছেন। ঘরে দুটি সন্তানও রয়েছে।
এই ভ্যানচালক রহিম সানা নবম শ্রেণিতে পড়া এক কিশোরীকে ‘ফুসলিয়ে’ সাতক্ষীরায় নিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করার চেষ্টার সময় ধরা পড়েছেন।
আজ রোববার সাতক্ষীরা আদালত চত্বরের বাগান থেকে পুলিশ রহিম সানা ও ওই কিশোরীকে আটক করে। দুজনেই এখন রয়েছে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের হেফাজতে।
সাতক্ষীরার বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সাকিব হোসেন জানান, তিনি খবর পান যে তাসলিমা খাতুন নামের ওই ছাত্রীকে তার বাড়ি যশোরের মনিরামপুর উপজেলার খানপুর এলাকা থেকে ফুসলিয়ে এনেছে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কেয়ারগাতি গ্রামের রহিম সানা। তাঁকে সহায়তা করেছেন একই এলাকার আবির হোসেন। তারা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করার কথা বলতেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এ সময় সাতক্ষীরা থানার পুলিশ তাসলিমা, রহিম সানা ও তাঁর বন্ধু আবিরকে থানায় নিয়ে যায়।
তাসলিমা জানিয়েছে, রহিম সানা তাকে মিথ্যা কথা বলে বিয়ের জন্য নিয়ে এসেছে। সে মনিরামপুরের একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
অপরদিকে রহিম সানা স্বীকার করেছেন যে তাঁর আরো দুজন স্ত্রী রয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) অনুপ কুমার জানান, আটক দুজনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।