বেতন পরিশোধের দাবিতে গাজীপুরে বিআরটির শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বকেয়া বেতনের পরিশোধের দাবিতে যানজট নিরসনে প্রকল্প বাস র্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) শ্রমিকরা গাজীপুরে সাইট ডিপোর সামনে অবস্থান ধর্মঘট করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডিপোর ফটক অবরুদ্ধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা। এ সময়ে তারা প্রকল্পের ডিপোতে কোনো গাড়ি চলাচল করতে দেয়নি।
প্রকল্পের এস্কাভেটরের (ভেকু) অপারেটর আবু কাউসার জানান, চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আল-আমিন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড বিআরটি কাজ করছে। গত ৩০ এপ্রিল ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ার, সুপার ভাইজার, ফোরম্যানসহ ১৫ জন কর্মীকে বেতন পরিশোধ না করে চাকরি থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া দিনমজুরসহ বিভিন্ন পদে যারা এখনও প্রকল্পে কাজ করছেন তাদেরও দুই থেকে তিন মাসের বেতন পাওনা রয়েছে। দিনভর কাজ করে খাবারের জন্য সন্ধ্যায় তাদের বাজার করে নিতে হয়। কিন্তু রোজার দিন টাকার অভাবে তারা কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
দিনমজুর শাহানারা বেগম জানান, চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আল-আমিন কনস্ট্রাকশন কোম্পানির নিযুক্ত কর্মীদের পারিশ্রমিক ও বেতন নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করলেও আল-আমিন কনস্ট্রাকশন তা পরিশোধ করে না। কখনও পরিশোধ করলেও আংশিক বেতন পরিশোধ করে থাকে।
দিনমজুর ইসমাইল হোসেন বলেন, যেখানে চীনের সিজিজিসি কোম্পানি দিন মজুরদের প্রতিদিন ৪৫০ টাকা দেয়, রাজমিস্ত্রি ও রডমিস্ত্রিদের দৈনিক ৭ ০০ থেকে ৮০০ টাকা মজুরি ধার্য করলেও আল-আমিন কনস্ট্রাকশন তাদের খোরাকি ভাতা হিসেবে ২০০ টাকা করে দিয়ে থাকে। বাকি টাকা এখনও তারা দিচ্ছে না। আর ওই পাওনা চাইলে কর্তৃপক্ষ নানা অজুহাতে কর্মীদের চাকরিচ্যুত করে। এর প্রতিবাদে তারা প্রকল্পের ডিপোর ফটক আটকে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছেন। তাদের পাওনা পরিশোধ না করা হলে স্থায়ী কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আল-আমিন কনস্ট্রাকশন কোম্পানির সুপারভাইজার আবদুল হালিম মিয়া বলেন, প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বর্তমানে অর্থসংকটে আছেন। এ জন্য আমাদেরও বেতন বকেয়া রয়েছে। তবে আগামী বৃহস্পতিবার কর্মীদের পাওয়ানাদি প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।