রাজধানীতে দুজনের ‘আত্মহত্যা’
রাজধানীর জুরাইন মেডিকেল রোডের একটি বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে সোহেল (১৮) ও কলাবাগানের বশির উদ্দিন রোডের একটি বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে হেফজুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে সোহেলকে ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হেফজুলকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার মৃত শহীদের ছেলে সোহেল। পরিবারের সঙ্গে জুরাইন রোডের ফজলুল মিয়ার বাড়ি ভাড়া থাকতেন তিনি।
মৃত সোহেলের বড় ভাই সোহাগ জানান, বছর খানেক আগে সোহেল একটি দোকানে কাজ করত। কিন্তু কিছুদিন ধরে বেকার ছিল।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে জুরাইন মেডিকেল রোডের টিনসেড বাসায় সবার অগোচরে রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেন সোহেল। পরে দেখতে পেয়ে দরজা ভেঙে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন। হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে গলায় ফাঁস দেওয়ার কারণ জানাতে পারেনি পরিবারের কেউ।
এদিকে কলাবাগান বশির উদ্দিন রোডের ১০০/এ নম্বর বাসার পঞ্চম তলায় বিকেল ৫টার দিকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দেন হেফজুল। খবর পেয়ে কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আজিম তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই আজিম জানান, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার জহিরুল ইসলামের ছেলে হেফজুল। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসার জন্য তিন-চার দিন আগে তিনি গ্রাম থেকে কলাবাগান বোনের বাসায় এসেছিলেন।
তবে কী কারণে হেফজুল গলায় ফাঁস দিয়েছে তা জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান এসআই আজিম।