নানরুটি ও গ্রিলচিকেন খেয়ে দুই পরিবারের ১৩ জন অসুস্থ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হোটেল থেকে কেনা নানরুটি ও মুরগির গ্রিল (গ্রিলচিকেন) খেয়ে দুই পরিবারে ১৩ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বমি ও পাতলা পায়খানাসহ পেটের পীড়ার নানা সমস্যা নিয়ে তারা এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
অসুস্থ ব্যক্তিরা হলো ভৈরব পৌর শহরের পঞ্চবটী বউবাজার এলাকার রুবেল (২৭), তাঁর পরিবারের সদস্য মামনি (২০), ছাদিব (৩), চৈতি (১৫), সাবিনা (১৯), রাব্বি (১২), বিপ্লব (১৫), শান্তা (১৭) ও মুক্তি (১০) এবং উত্তর ভৈরবপুর এলাকার শের আলী মিয়া (৩৫), তাঁর স্ত্রী ইয়াছমিন (২৬), ছেলে রাদ (১১) ও মেয়ে ইশরাদা (সাড়ে ৪ বছর)।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. নাজমুল করিম জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তিনি। তবে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বলা যাবে বলেও জানান তিনি।
আক্রান্ত রুবেল মিয়ার পরিবারের সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড দুর্জয়মোড় এলাকার রোজ গার্ডেন নামের একটি রেস্তোরাঁ থেকে তাঁর জামাতা রুবেল ১২ পিস নানরুটি ও তিনটি মুরগির গ্রিল কিনে আনেন। সেই রুটি আর গ্রিল পরিবারের সবাই একসাথে খাওয়ার ঘণ্টাখানেক পর থেকেই একে একে সবার বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়ে যায়। পরে তাদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে উত্তর ভৈরবপুর এলাকার শের আলী মিয়া জানান, ইফতারের ঘণ্টা খানেক পর ওই একই হোটেল থেকে তিনি মুরগির গ্রিল এনে পরিবারে সদস্যদের নিয়ে খান। খাওয়ার ঘণ্টা খানেক পর থেকেই তিনিসহ পরিবারের চার সদস্য পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। পরে স্বজনরা তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে রোজ গার্ডেন রেস্তোরাঁর মালিক সাদ্দাম হোসেন দাবি করেন, তাঁর রেস্তোরাঁর খাবার খুবই মানসম্মত। তাঁরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণে খুবই সচেষ্ট বলেও জানান।