মহিলা লীগ নেত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী, সতীন গ্রেপ্তার
চাঁদপুরে কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সদস্য ও গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সীর হত্যার ঘটনায় স্বামী ও স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহতের ছোট ভাই মো. ফোরখান উদ্দিন খান আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর মডেল থানায় চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।
ওই মামলায় আসামিরা হলেন নিহতের স্বামী চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগম, জহিরুল ইসলামের ছোট ভাই খাইরুল কবির নয়ন ও বোন রানু বেগম।
মডেল থানা পুলিশ মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে।
এদিকে গতকাল সোমবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফেন্সীর স্বামী জহিরুল ইসলামকে থানায় নেয় পুলিশ। মঙ্গলবার ভোর রাতে জহিরুলের দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগমকে আটক করে পুলিশ।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চাঁদপুর শহরের ষোলঘর এলাকায় নিজ বাসভবন থেকে শাহীন সুলতানা ফেন্সীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের পরিবার জানায়, শাহীন সুলতানা ফেন্সীর তিন মেয়ে। দুই মেয়ে দেশের বাইরে ও এক মেয়ে কুমিল্লায় থাকেন।
নিহতের ভাই নঈম খান জানান, তাঁর বোনের স্বামী জহিরুল ইসলাম পাঁচ বছর আগে আরেকটি বিয়ে করেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থাকত। প্রায় সময়ই জহির তাঁর স্ত্রীকে মারধর করতেন। রাতে জহিরুল পারিবারিক কলহের জের ধরে বোন শাহীনকে হত্যা করেন বলে দাবি করেন নঈম।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় দেখে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় শোওয়ার ঘরের খাটের সামনে মেঝেতে শাহীন সুলতানা ফেন্সীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উল্লাহ ওলি জানান, মাথায় আঘাতের কারণে ফেন্সী নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তদন্ত শেষে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত রয়েছে, তা জানা যাবে।