নেত্রকোনায় গৃহকর্মীকে নির্যাতন, শিক্ষিকা গ্রেপ্তার
নেত্রকোনা সদর উপজেলায় গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে ফারজানা আক্তার (৩০) নামের এক শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের নাগড়ার বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন খান জানান, জেলা শহরের নাগড়া এলাকায় শিক্ষক দম্পতি রাসেল মাহমুদ ও তাঁর স্ত্রী শিক্ষিকা ফারজানা আক্তার দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করেন। তাঁরা বাসার কাজের লোক হিসেবে প্রায় তিন মাস আগে সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের কারলী গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ১৪ বছরের কিশোরী মেয়ে রোকেয়া আক্তারকে নিয়ে আসেন। এরপর থেকে নানা কারণে রোকেয়ার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করতেন ফারজানা। আজ সকালে ঘরে পানি ফেলে দেওয়ায় রুটি বেলার বেলনি দিয়ে রোকেয়ার মাথায় আঘাত করেন তিনি। এতে রোকেয়ার মাথা ফেটে যায়। এরপর রুটি উল্টানোর ছ্যানা গরম করে রোকেয়ার পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকা দিয়ে ঝলসে দেয় তাকে।
আজ বিকেল ৩টার দিকে ওসি ও সাংবাদিকদের সামনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে নির্মম অত্যাচার-নির্যাতনের বর্ণনা দেয় রোকেয়া। সে ফারজানার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। এ সময় ওসি তার মেয়ের জন্য কেনা এক সেট জামা রোকেয়াকে উপহার দিয়ে ঈদের দিন পরার জন্য বলেন।
ওসি জানান, মেয়েটিকে উদ্ধারের পর নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ফারজানার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।