‘ভারতকে ফেলে আমরা উপরে চলে যাব’
বাজেটের আকার বড় হলেও এই বাজেট জয় করার সক্ষমতা এ দেশের মানুষের আছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আগামী দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশ ভারতকে পেছনে ফেলে আরো বেশি উন্নয়ন করবে বলেও দাবি করেন তিনি।
আজ শনিবার দুপুরে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার দত্তপুরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এখানে ভারতের যে সাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতি, তিনি এপিজে আবদুল কালাম। তিনি একটি কথা বলেছেন, সেটা হলো, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সমুদ্র তৈরি করেছেন। মানুষকে সেই ঢেউ জয় করার ক্ষমতাও দিয়েছেন। সুতরাং আমাদের দেশের মানুষের সেই সক্ষমতা আছে। আমি জানি, আমার দেশের মানুষ এটা পারবে। আমার কথা বুঝছেন? আমরা যেহেতু, এই অল্প কিছুদিনের মাঝেই, ১০ বছরের মাঝেই জাতিকে আমরা এই জায়গায় নিয়ে আসতে পেরেছি। আপনারা দেখেছেন, পত্রপত্রিকায় আসছে, দুই বছরের মধ্যে আমরা ভারতকে পিছিয়ে ফেলে আমরা উপরে চলে যাব।’
গত ৭ জুন জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ না থাকলে তো জীবনে শান্তিও নাই, আনন্দও নাই। চ্যালেঞ্জ যত বড় হবে, সেটাকে অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাওয়াই হবে বড় সফলতা। আর সব সময় মনে রাখবেন, সাহসীর ঘরেই সৌভাগ্যের প্রসূতি, যারা সাহসী তারাই সৌভাগ্যবান। সুতরাং আমরা এই নীতিতে বিশ্বাস করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের সেই স্বপ্ন দেখাইছেন। আমরা সেইভাবেই আমাদের বাজেটকে সাজিয়েছি। এ বাজেট আমরা বাস্তবায়ন করব। বাজেট বাস্তবায়নের মাঝ দিয়ে, আপনারা জানেন যে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা কী। ২০৩০ এর লক্ষ্যমাত্রা, ২০৪১ এর লক্ষ্যমাত্রা, সেটা জাতির কাছে আমরা বারবার তুলে ধরেছি। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের জাতি সেটা পারবে। তাদেরকে সঙ্গে নিয়েই আমরা আমাদের এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করব। আমরাও চাই, আপনাদের মাধ্যমে জাতি যেন জানে, যে এটাই সময়। একটা মানুষের জীবনে যেমনিভাবে সুযোগ আসে। জাতির জীবনেও সুযোগ আসে। এটা কিন্তু বারবার আসে না। যাই হোক, যাই সামনে বাধা আসুক না কেন, বাধা অতিক্রম করতে হবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআন শরিফেও বলছেন, মানুষকে আমি এভাবে শক্তিশালী করে তৈরি করেছি, যে মানুষ চাইলে তারা সেই বাধা অতিক্রম করতে পারবে। এবং তারা সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারবে।’
প্রায় ১১ একর জমির ওপর শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার কমপ্লেক্স নির্মিত হলে আড়াই হাজার তরুণ-তরুণী আইটি/টিইএস বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে। জেলাপর্যায়ে আইটি/হাইটেক পার্ক স্থাপনের আওতায় এটি স্থাপিত হচ্ছে। দেশের মোট ১২টি জেলায় এই পার্ক স্থাপন করা হবে বলে জানা যায়।
এ সময় ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।