খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে ৩ ভাই-বোনের মৃত্যু
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্যাগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামে পুকুরে ডুবে একই পরিবারের তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো জামিলদি মাতুব্বরের মেয়ে জিমি আক্তার (৭) ও ছেলে সাজ্জাদ(৩) এবং জামিলদির ভাই বাশার মাতুব্বরের মেয়ে রিমি আক্তার (৬)। নিহত শিশুরা আপন চাচাতো ভাই- বোন।
নুরুল্যাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. তরিকুল ইসলাম জানান, আজ এলাকার মসজিদে ইফতারের অনুষ্ঠান ছিল। তাই জামিলদি মাতুব্বরের বাড়ির সবাই ইফতার বানানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এই সুযোগে বাড়ির তিন শিশু পুকুর পাড়ে খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে যায়। বাড়ির লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে। পরে না পেয়ে পুকুর পাড়ে তাদের স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ করে। তারা পুকুরে নেমে তিনজনকে উদ্ধার করে। এরপর সদরপুর জাকের মঞ্জিল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্যাগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামে পুকুরে ডুবে একই পরিবারের তিন শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনের আহাজারি। ছবি : এনটিভি
বাশার মাতুব্বরের ভাই এনামুল মাতুব্বর জানান, জামিলদি মাতুব্বর সদরপুর উপজেলা সদরে ফলের ব্যবসা করেন। তিনি তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে জিমি ও সাজ্জাদকে নিয়ে সদরপুরে থাকেন। অপরদিকে, বাশার মাতুব্বর ফরিদপুরে ফুচকা বিক্রি করেন। তবে, তাঁর পরিবার কাঁঠালবাড়ি গ্রামেই থাকে। আজ রোববার জামিলদি মাতুব্বর মসজিদে ইফতার দেওয়ার জন্য দুই ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন।
মৃত রিমি কাঠালবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির ছাত্রী। অন্যদিকে, তার চাচাতো বোন জিমি সদরপুরের একটি কিন্ডারগার্টেনে নার্সারি শ্রেণির ছাত্রী ছিল বলে জানা যায়।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাইদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক।’
এদিকে একই দিনে একই বাড়িতে তিন শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।