‘অন্য রকম ফিলিংস, ফ্যামিলির সঙ্গে ঈদ করব’
ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগে থেকেই শুরু হয়েছিল মানুষের ঈদযাত্রা। আর আজ বুধবার সরকারি-বেসরকারি কর্মস্থলে ছুটি থাকায় ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে হাজারো মানুষ। শুরু হয়েছে প্রতিবছরের মতো বাড়ি ফেরার যুদ্ধ।
আজ রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ঘরমুখো মানুষের ভিড়।
এক যাত্রী বললেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। যেকোনো মূল্যে বাড়ি যেতে হবে। টিকেট পাইনি। স্ট্যান্ডিং টিকেট করেছি। তার পরে অনেক সিরিয়াল ধরে, উঠলাম। তো, অন্য রকম একটা ফিলিংস। ফ্যামিলির সঙ্গে ঈদ করব।’
ট্রেনে উঠতে পেরে আনন্দিত এক যাত্রী বললেন, ‘কষ্ট হলেও এই সময়টাতে সবাইকে পাওয়া যায় একসঙ্গে। এটার জন্যই মূলত যাওয়া আর কী।’
টিকেট না পেয়ে অনেকে আবার কালোবাজারে টিকেট কিনেছেন দ্বিগুণ-তিন গুণ দামে।
এমন এক যাত্রী বললেন, ‘যেই টিকেট ১২৫ টাকা, সেই টিকেট আমি বাইরে কিনলাম ৩০০ টাকা করে। এখানে যারা আছে সবাই। এখানে জিনিসটা আপনাদের মিডিয়ার মাধ্যমে সবাইকে জানাতে চাই, যে ব্ল্যাক মার্কেটে যে টিকেট বিক্রি, কালোবাজার, এগুলা যাতে বন্ধ হয়।’
রেলপথ, সড়কপথ সবখানেই মানুষের ঢল। এদিকে, ঘরমুখো মানুষদের সব পথেই অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার স্বস্তিদায়ক যাত্রা বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, ‘কোনো সমস্যা আজকে রাস্তায় নেই। সড়ক থে নেই, রেলপথে নেই, নৌপথে নেই। সব জায়গাতেই আগের যেকোনো সময়ের চাইতে এবারকার জনগণের ঈদ উপলক্ষে তাদের যে যাত্রা, ঘর অভিমুখে যেই যাত্রা, সেই যাত্রা এবার আগের যেকোনো সময়ের চাইতে স্বস্তিদায়ক এ পর্যন্ত।’
সারা বছর বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় আসা মানুষেরা যখন একই সঙ্গে ঢাকা ছাড়েন, তখন পরিবহন সংকুলান না হওয়াটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু তার পরেও জীবনের ঝুঁকি কিংবা শঙ্কা উপেক্ষা করেই মানুষ স্বজনদের কাছে ফিরছেন নাড়ির টানে। যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়, মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট ও ভোগান্তির কথা মাথায় রেখেও শুরু করেছেন তাঁদের ঈদযাত্রা।