এখন চাই টুপি আর আতর
আর কয়েকদিন পরই ঈদ। আর ঈদের সকালটা শুরু হয় নামাজ দিয়ে। আর ঈদের নামাজ মানেই নতুন পাঞ্জাবি। তবে কেবল পাঞ্জাবি হলে তো হয় না, সঙ্গে তো টুপি লাগে; সুগন্ধির জন্য লাগে আতর।
ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে টুপি, আতর, জায়নামাজ ও তসবি কেনাবেচা বেড়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর বায়তুল মুকাররম, পল্টন, মিটফোর্ড সুগন্ধি বাজার, নিউমার্কেট, চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় টুপি, আতর ও জায়নামাজের দোকানে ভিড়। এ উপলক্ষে বড় দোকান থেকে শুরু করে ছোট ছোট দোকানগুলোতেও ছিল উপচেপড়া ভিড়। আগামী দুদিন ক্রেতা আরো বাড়বে বলে একাধিক দোকানি এনটিভি অনলাইনকে জানান।
মোহাম্মদ ইমরান নামের এক টুপি বিক্রেতা বলেন, ‘২০ রোজার পর থেকে বেচা-বিক্রি ভালো হয়েছে।’ ঈদের আগের রাতে বিক্রি সবচেয়ে বেশি হয় বলেও জানান তিনি।
এবারে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দামের টুপির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তবে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দামের টুপিও বিক্রি হচ্ছে বলে জানান ইমরান।
ইমরান আরো জানান, নানা রকম নকশা ও কারুকাজে সজ্জিত টুপির প্রতি ক্রেতাদের আকর্ষণ কাজ করে বেশি। সেদিক থেকে নকশা ও কারুকাজের মান ভালো হওয়ায় এবারে বিদেশি টুপির চেয়ে দেশি টুপির চাহিদা তুলনামূলক বেশি। তবে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ওমান ও পাকিস্তানের টুপির প্রতিও ক্রেতাদের আগ্রহ আছে বলে জানান এই বিক্রেতা।
বায়তুল মোকাররম এলাকায় টুপি কিনছিলেন সালাম নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন নতুন পাঞ্জাবির সঙ্গে নতুন টুপি না থাকলে বেমানান লাগে। প্রত্যেক বছর টুপি কিনতে আমি বায়তুল মোকাররম এলাকার দিকেই আসি।’
মসজিদের পাশেই দোকান সাজিয়ে বসা মেহেদী হাসান নামের এক আতর বিক্রেতা বলেন, ‘আগে ঈদে খুব আতর বিক্রি হত। কিন্তু এখন আর আগের মতন অত বিক্রি হয়না। তবে আগামী দুদিন বিক্রি অনেকটা ভালো হবে।’
মেহেদির কাছে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা দামের আতর আছে। মেহেদী জানান, ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দামের আতরের চাহিদাই বেশি ক্রেতাদের কাছে। তবে কেউ কেউ চার পাঁচ হাজার টাকা দামের আতরও কেনেন বলে জানান তিনি।
চকবাজার শাহী মসজিদের সামনে বসা আতর বিক্রেতা নান্নু সরকার জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর আতরের বিক্রি কম। তবে আগামী দুই দিন ব্যবসা ভালো হবে বলে জানান তিনি।
নান্নু সরকার বলেন, ‘দেশে প্রস্তুত করা আতরের মধ্যে তাঁর কাছে আছে- শাহী দরবার, আলিফ, মারজান, বিলকিস, জেসমিন, রজনী, মদিনা ইত্যাদি। এসব আতরের বেশিরভাগেরই দাম ৫০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে এবং এগুলোই বেশি বিক্রি হয়। দাম বেশি হওয়ায় বিদেশি আতরের বিক্রি তুলনামূলকভাবে কম।’
শিহাব নামের এক জায়নামাজ বিক্রেতা জানান, ঈদের সকালে নতুন জায়নামাজ নিয়ে ঈদগাহে যাওয়ার জন্য অনেকে জায়নামাজ কিনছে। জায়নামাজগুলোর বেশির ভাগই বিদেশে তৈরি। এবার পাকিস্তানের কোকার ৪৫০ থেকে ৬৫০, ন্যাশনাল ৪৫০ থেকে ৬০০, তুরস্কের আইরিন ৫০০ থেকে ৬০০, কাটারে নেওয়াজ ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশে তৈরি করা জায়নামাজগুলো বিক্রি করা হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে।