দেড়শ শিশুকে ঈদের পোশাক দিল মিডিয়া মিউজিয়াম ইয়ুথ ক্লাব
ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও রেললাইন বস্তিতে ছিন্নমূল শিশুদের হাতে নতুন পোশাক তুলে দিয়েছে মিডিয়া মিউজিয়াম ইয়ুথ ক্লাব।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সদস্যরা দেড়শ শিশুর হাতে নতুন পোশাক তুলে দেন।
ঈদের মাত্র একদিন আগে নতুন পোশাক পেয়ে ভীষণ আনন্দিত এসব শিশু।
শিশু আকলিমার জন্য নতুন জামা নিতে এসেছিলেন তার মা। ছলছল চোখে তিনি জানালেন, তাঁর স্বামী নেই। নিজে মানুষের বাসাবাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। আর একদিন পরে ঈদ হলেও কোলের সন্তান মায়মুনার জন্যই কেবল নতুন পোশাক কিনতে পেরেছেন। এখনো কেনা হয়নি আকলিমার পোশাক। তাই আজ সকালে নতুন পোশাক পেয়ে দারুণ খুশি সে।
একই রকম খুশি রাসেল, হিরণ, জালিছ, নূরিসহ অন্য শিশুদের চোখে-মুখে।
এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মিডিয়া মিউজিয়াম ইয়ুথ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট এম এম বাদশাহ বলেন, শিশুদের মুখে এমন নিষ্পাপ হাসি ফোটানোর কথা চিন্তা করেই ২০০৯ সালের অক্টোবরে এক সান্ধ্যকালীন আড্ডায় শুরু হয়েছিল মিডিয়া মিউজিয়াম ইয়ুথ ক্লাবের পথচলা। এর পর থেকে প্রতিবছরই ঈদের সময়ে নতুন পোশাক দেওয়ার কাজটি করছেন তাঁরা।
এম এম বাদশাহ বলেন, ‘কারণ আমরা ঈদের খুশির দিনে কোনো শিশুর গোমড়া বা বেজার মুখ দেখতে চাই না, শিশুরা হাসলে হাসবে পৃথিবী। এ জন্যই সংগঠনের প্রত্যেক সদস্য ঈদের খরচ সাশ্রয় করে কিছুটা তহবিল তৈরি করি আমরা। সেই টাকায় কেনা হয় ছিন্নমূল শিশুদের জন্য নতুন জামা। আর বরাবরের মতো পাশে আছেন কিছু প্রিয়জন, বন্ধু, স্বজন যাদের মধ্যে দু-একজন প্রবাসী বন্ধুরাও এবার পাশে দাঁড়িয়েছেন।’
শিশুদের জন্য নতুন জামা কিনতে যাঁরা সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট। তিনি আরো বলেন, এসব শিশুর হাতে একটি নতুন জামা তুলে দেওয়ার পরে তাদের চোখে যে আনন্দের ঝিলিক দেখা যায়, যে অকৃত্রিম খুশির ছোঁয়া অনুভব করা যায় তার মূল্য বা এ অনুভূতি কাউকে বলে বোঝানো যাবে না।
পথশিশুদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এমএম বাদশাহ বলেন, ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ডে তারুণ্য-উদ্যম আর উদ্দীপনায় তরুণ সমাজকে কাজে লাগাতে হবে। তাহলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটবে।’
পোশাক বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া মিউজিয়াম ইয়ুথ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট এম এম বাদশাহ, ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াজুল ইসলাম, মমিন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এফ এম বায়জিদ, প্রচার সম্পাদক মো. শাহজালাল এবং কার্যনির্বাহী সদস্য মাসুদ রানা।