মানহানির দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন
মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালন এবং যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়ে জাতির মানহানির অভিযোগের দুই মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের পৃথক দুই বিচারকের কাছে এ আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে ঢাকার মহানগর হাকিম খোরশেদ আলমের আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালন ও ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবীব সবুজের আদালতে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়ে জাতির মানহানির অভিযোগের মামলায় জামিনের আবেদন করা হয়। বিচারক সেসব মামলায় জামিন শুনানির জন্য ২১ জুন দিন নির্ধারণ করেছেন।
সানাউল্লাহ মিয়া জানান, আগামী ২১ জুন পুরান ঢাকার বকশী বাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে এসব মামলার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় পতাকা অবমাননার মামলা
যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়ে সমগ্র জাতির মানহানির অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম আদালত ৭-এ মানহানির মামলা করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।
এ মামলায় ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। এই মামলায় খালেদা জিয়া জামিন চাইলে গত ১৭ মে তৃতীয় দফায় শুনানি পিছিয়ে আগামী ৫ জুলাই আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন। এ অবস্থায় তাঁর জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগ
মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত-২২-এ মামলাটি করেন।
এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর গত ২৫ এপ্রিল এ মামলায় খালেদা জিয়া জামিন চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু জামিন না দিয়ে ১৭ মে শুনানির দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
পরবর্তী সময়ে ওই তারিখে তাঁর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের আদেশ দিয়ে ৫ জুলাই জামিন বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেন। এ অবস্থায় তাঁর জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। এই মামলায় অন্য আসামি খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে জামিন পেলেও আরো মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় কারাবন্দি রয়েছেন।