তুরাগ তীরে ছুটির আমেজ
পাশ দিয়েই বয়ে গেছে তুরাগ নদ। দাঁড়ালেই পাওয়া যায় খোলা বাতাস। প্রশান্তি আসে মনে। ইটপাথরের এ রাজধানীতেই যদি এমন জায়গা মেলে তবে তো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেনই নগরবাসী। তাই তো ছুটির দিনে ভিড় থাকে মিরপুরের বেড়িবাঁধে।
ঈদের ছুটিতেও সেই রেশ দেখা গেল। নগরবাসী একটু স্বস্তি পেতে ছুটে যাচ্ছে মিরপুর বেড়িবাঁধে। আজ রোববার ওই এলাকায় গিয়ে এ দৃশ্যই দেখা গেল। মিরপুরের বেড়িবাঁধ, চটবাড়ির বটতলা, তামান্না গার্ডেন, বিরুলিয়া ব্রিজ এসব এলাকায় অনেক মানুষ ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে যায়।
ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে অথবা মোটরসাইকেলে করে বেড়াতে যান সেখানে।
মোহাম্মদ মনির হোসেন ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঈদে সব সময় ঢাকায় থাকা হয় তাঁর। রাজধানীতে সব সময় কোলাহল লেগে থেকে থাকে। তাই তিনি তাঁর পরিবার নিয়ে বেড়াতে যান মিরপুরের বেড়িবাঁধে।
চটবাড়ি বটতলার সামনে রিক্তা পারভিন জানান, ঢাকা শহরের মধ্যে নিরিবিলি আর গ্রাম্য পরিবেশ পাওয়া যায় না, তাই তিনি মিরপুরে চটবাড়ি বটতলায় বেড়াতে এসেছেন।
রিক্তা বলেন, ‘এখানে আসলে নৌকা ভ্রমণের মজাই আলাদা। নৌকায় ঘণ্টা চুক্তিতে ঘুরতেছি।’
স্ট্যালিন নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘ঈদের সময় তিনদিনের ছুটি পেয়েছি। তাই পরিবার নিয়ে এখানে ঘুরতে বের হয়েছি। প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার পাশাপাশি এখানে মৃদু বাতাস অনেক ভালো লাগে। পুরো ফ্রেশ অনুভব করি।’
বেড়িবাঁধে থাকা এক নৌকার মাঝি হারুন বলেন, ‘আগে চটবাড়ির বটতলায় মানুষ অনেক আসত। কিন্তু ইদানীং মানুষ একটু কমই আসে। তবে ঈদ ও পহেলা বৈশাখ এলে মানুষের ভিড় লেগে যায়।’
হারুন বলেন, ‘এখানে ঘণ্টা ভিত্তিতে নৌকায় ঘুরা যায়। ১৫০ টাকা দিয়ে কেউ এক ঘণ্টা নদীতে নৌকায় ঘুরতে পারবে।’
বেড়িবাঁধে সালাম মিয়া নামের এক ফুচকা বিক্রেতা বলেন, ‘ঈদের সময় অনেক লোক আসে তাই ব্যবসা ভালো হয়। অন্যসময় শুক্রবারে কিছু লোক আসে। তবে ঈদ ও পহেলা বৈশাখে এখানে অনেক লোকের সমাগম হয়।’
বিরুলিয়া ব্রিজের সামনে কামাল নামের এক ঝালমুড়ি বিক্রেতা বলেন, ‘ঈদের ছুটি থাকায় বিরুলিয়া ব্রিজের সামনে অনেক মানুষ আড্ডা দিতে আসে। এখানে এখন অন্যসময়েও মানুষ বেড়াতে আসে।’
কামাল বলেন, ‘নদীর উপর দিয়ে ব্রিজ হওয়ায় এখানের দৃশ্য অপরূপ। আর শীতল বাতাস উপভোগ করতে মানুষ নিজেদের গাড়ি ও মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে আসে।’