এখন আমরা দেখব আগামী তিন মাসে কী করে
আগামী তিন মাসে বিএনপি কী আন্দোলন করে তা দেখার অপেক্ষায় আছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি প্রশ্ন করে বলেছেন, আন্দোলন করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে? নয় বছরে নয় মিনিটেও পারেনি, এখন আমরা দেখব আগামী তিন মাসে কী করে।
আজ রোববার কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকায় কুমিল্লা-নোয়াখালী সড়ক পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
কারাবন্দি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উনি বঙ্গবন্ধুতে চিকিৎসা নিতে চান না। যদিও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বাংলাদেশের চিকিৎসার জন্য, আমাদের দলের নেতাকর্মী গুরুতর অসুস্থ হলেও প্রথমে আমরা প্রেফার করি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল। সেখানে ভালো ভালো ডাক্তাররা আছে। শুধু আওয়ামী লীগের নয়, বিএনপিপন্থীও অনেক ভালো ভালো ডাক্তার আছে। ওকে তিনি সেটা পছন্দ করছেন না।’
এরপর খালেদা জিয়াকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা করানোর প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি তাতে সম্মত হননি। তিনি বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে চেয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সিএমএইচের চেয়ে ভালো, সুচিকিৎসার ব্যবস্থা বাংলাদেশের আর কোথাও নেই। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। সেখানে তিনি (খালেদা জিয়া) কেন যেতে চান না? যেতে চান না, কারণ তারা (বিএনপি) বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে, চিকিৎসা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। তাদের মাথাব্যথা হচ্ছে রাজনীতিতে। ঈদের পরে সর্বাত্মক আন্দোলনের ঘোষণাতে ঘোষণা কার্যকর করার জন্য একটা ইস্যু পিকআপ করা। এছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্য নাই।’
কারাগারে খালেদা জিয়াকে প্রথম শ্রেণির বন্দির চেয়েও বেশি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) ফার্স্ট ক্লাস প্রিজনার। যে সুবিধা পাওয়ার কথা তার চেয়ে বেশি সুবিধা তাঁকে দেওয়া হচ্ছে। কারাগারে কি গৃহপরিচারিকা থাকে? কোনো দেশে আছে? বেগম জিয়া সেই সুবিধাও নিচ্ছেন। ব্যক্তিগত চিকিৎসক গিয়ে তাঁকে দেখে আসে।’