মোংলায় টর্নোডোতে ২৫০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার জয়মনি এলাকায় টর্নোডোর আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টনোর্ডোর তাণ্ডবে কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়ে কয়েক কিলোমিটার রাস্তাঘাট জুড়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় বজ্রপাতে দুজন আহত হয়। একজন নদীতে পড়ে নিখোঁজ রয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম জানান, আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি এলাকায় টর্নেডো আঘাত হানে। এতে প্রায় দেড়শ থেকে দুইশ কাঁচা ঘরবাড়ি আংশিক ও অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া কয়েকশ গাছপালা পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার জয়মনি এলাকায় আজ সোমবার টর্নোডোর সময় বজ্রপাতে আহত দুলালকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ছবি : এনটিভি
ইউএনও জানান, কাউকে যাতে খোলা আকাশের নিচে থাকতে না হয় সেজন্য জেলা প্রশাসন, সাবেক স্থানীয় সাংসদ ও খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সঙ্গে যোগোযোগ করে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তা ও অনুদান দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বজ্রপাতে আহত দুলাল ও মাসুদকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া নদীতে মাছ শিকারে থাকা জেলে শহীদুল বজ্রপাতে আহত হয়ে নদীতে পড়ে নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন ইউএনও রবিউল ইসলাম।
বিকেলেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন মোংলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, ইউএনও মো. রবিউল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাহিদুজ্জামান ও চিলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন।