এক বছরে মাদকের বিরুদ্ধে এক লাখের বেশি মামলা
গত বছর সারা দেশে এক লাখ ৩২ হাজার ৮৮৩ জন মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এক লাখ ছয় হাজার ৫৩৬টি মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানান, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে গত বছর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা এসব মামলা দায়ের করে।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদের অধিবেশসে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছর জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৩৪০টি মামলায় ৩৫ হাজার ১১২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনও এ বিষয়ে সহযোগিতা করে অবৈধ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখছে। আওয়ামী লীগ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মাদক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
মিয়ানমারের সাথে ডিসি-ডিএম পর্যায়ে সভা করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরো বলেন, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের হালনাগাদ তালিকা করে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া কক্সবাজার জেলায় ৯৪ জনবলের বিশেষ জোন স্থাপনের উদ্যোগ এবং বর্ডার লিয়াজোঁ অফিস স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মাদকবিরোধী এসব কার্যক্রমের ফলে মাদকদ্রব্যের চোরাচালান ও এর ব্যবহার বন্ধ করে যুব সমাজকে সামাজিক অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ইয়াবাসহ অপরাপর মাদকের প্রবাহ রোধ করতে মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে স্ট্র্যাটেজিক কমিটি, সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগ এনফোর্সমেন্ট কমিটি এবং সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগকে আহ্বায়ক করে মাদক বিরোধী সচেতনতা সৃষ্টি এবং সামাজিক আন্দোলন সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ ছাড়া মাদক বিরোধী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী কমিটি গঠন, আলোচনা সভা ও সেমিনার অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মাদকবিরোধী পোস্টার, লিফলেট, স্টিকার, স্যুভেনির প্রকাশ ও বিতরণের কাজ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মাদক অপরাধীদের কঠোর শাস্তি প্রদানের লক্ষ্যে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ এবং মোবাইল কোর্ট আইন সংশোধনের কার্যক্রম চলছে।