বন্দুকযুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ হবে না : সমাজকল্যাণমন্ত্রী
বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বন্দুকযুদ্ধের মাধ্যমে মাদক নিয়ন্ত্রণ হবে না, মাদক নিয়ন্ত্রণে দরকার সামাজিক সচেতনতার।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে ৭০ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। এর মধ্যে শতকরা ১০ ভাগ নারী। এ ছাড়া কিশোরী এবং যুবতীও আছেন। মাদকের বিষয়ে সচেতনতা না বাড়ালে এর ভয়াবহ ছোবলে দেশের যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে।
আজ শনিবার সকালে পাবনা শহরের নূরপুর বাইপাস এলাকায় ২৫০ শয্যার পাবনা কমিউনিটি হেলথ অ্যান্ড হার্ট হাসপাতালের উদ্বোধনকালে এ সব কথা বলেন মন্ত্রী।
হৃদরোগ বিশেষায়িত হাসপাতাল পাবনায় এটাই সর্বপ্রথম। পাবলিক প্রাইভেট পাটনারশিপে (পিপিপি) হাসপাতালটি করা হয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাশেদ খান মেনন বলেন, বর্তমান সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে। তারই আলোকে আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার থেকেই এই হেলথ অ্যান্ড হার্ট হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। হাসপাতালটি পাবনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের হৃদরোগ চিকিৎসায় ভূমিকা রাখবে। সেই সাথে বিশেষায়িত সেবা গ্রহণে এ অঞ্চলের মানুষ যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই হাসপাতাল।
ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী কামরুজ্জামান মুক্তার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবীর, সিভিল সার্জন ডা. তাহাজ্জেল হোসেন, পাবনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. রিয়াজুল হক রেজা, ট্রাস্টের কোঅর্ডিনেটর অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান, অক্সফামের সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. সাইদুর রহমান রুকু, কমিউনিটি হাসপাতালের উপদেষ্টা এস মুস্তাকিম সবুজ, ডা. তাহসিন আজিজ, মালঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আবদুল আলিম।
আর্সেনিক দুষণ শনাক্তকরণসহ পাবনাবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় গত ৩০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল। সুবিধা থেকে বঞ্চিত জনসাধারণ বিশেষায়িত এই হাসপাতাল থেকে বিশেষ সুবিধা পাবে। ২৪ ঘণ্টার জরুরি চিকিৎসা সেবা, গাইনি, শিশু, মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে ১২ জন চিকিৎসক সার্বক্ষণিক সেবা দেবেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানায়, ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এই হাসপাতালটি তৈরি হয়। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ১১ কোটি টাকা দিয়ে সহায়তা করে এবং আনুষঙ্গিক প্রায় ১০০ কোটি টাকা ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল নিজের তহবিল থেকে ব্যয় করে। এতে আধুনিক চিকিৎসা সেবার সব সুবিধা রয়েছে। স্বল্প খরচে গরিব অসহায় মানুষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই হাসপাতালে জটিল রোগের চিকিৎসা সেবা পাবে। ফলে পাবনার মানুষ স্বাস্থ্য সেবায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে সরকার পাবনা মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য একনেকের সভায় ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এ ছাড়া সরকার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালকে আরো আধুনিক করার সিদ্ধান্ত নেয়।