এমন কর্ম করব, বিশ্ব আমাকে স্মরণ করবে
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. হাসান উদ্দিন সরকার বলেছেন, আমি পূর্বে একটা ঘোষণা দিয়েছি, আমি এমন একটা কর্ম করব যে তা সমাজের ক্ষতি হবে না, কিন্তু চিরদিন যেন এ বিশ্ব স্মরণ করে নির্বাচনের জন্য হাসান উদ্দিন সরকার ওই কর্ম করেছে।
আজ শনিবার বিকেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পূবাইল এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার হাসান উদ্দিন সরকার এসব কথা বলেন।
হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, আমাকে প্রশাসনিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। মামলা নেই, তারপরও আমার লোকজনকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, হয়রানি করা হচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে শনিবার সকালে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি এখনও আবেদন করব, আমি এখনও নিবেদন করব, আপনারা সেই শান্তির পরিবেশ রক্ষা করুন।
বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী বলেন, পুলিশী অভিযানের নামে আমার নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। গতরাতে গাছা এলাকা থেকে কাউছার নামের এক কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়াও নির্বাচনী প্রচারকালে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা নগরীর পোড়াবাড়ি এলাকা থেকে আমার প্রচারণার দুইটি মাইক ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাসান সরকার বলেন, আমরা যেন কলহ না করি, বিরোধ না করি, আমরা যেন কারো সর্বনাশ না করি। আমরা যেন শান্তির পথে চলি। রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য। রাজনীতি যদি মানুষের মধ্যে. সমাজের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়, মুরুব্বিদের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়, সেটা রাজনীতি নয়।
হাসান উদ্দিন সরকারের গণসংযোগ
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আজ ২০ দলীয় জোট প্রার্থীর পক্ষে বিএনপিসহ জোট নেতারা নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘ডোর টু ডোর’ লিফলেট পৌঁছে দিয়ে ভোটারদের কাছে তাদের প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও মিডিয়া সেলের প্রধান ডা. মাজহারুল আলম জানান, ধানের শীষের প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার সকাল সাড়ে ৯টায় মহানগরের হায়দরাবাদ থেকে প্রচার কাজ শুরু করেন। পরে মাজুখান বাজার, নন্দীবাড়ি, বিন্দান, পূবাইল, ভাদুন, ইছালী ও কলের বাজার এলাকায় প্রচার কাজ করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এ কে এম ফজলুল হক মিলন, সদস্য সচিব কেন্দ্রীয় নেতা কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, কাপাসিয়া থানা বিএনপির সেক্রেটারি সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ গাজীপুর জেলার সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এদিকে নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ। নগরীর ৪০ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও পেশাজীবী নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বেগম জাহানারা, সহধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অর্পণা রায়, জিয়া ব্রিগেড সভাপতি আবুল হোসেন, পেশাজীবী নেতা ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমীন আকন্দ, ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রশিদ, স্থানীয় বিএনপি নেতা আবদুল বাতেন, সোলায়মান, হাজী রফিক।
নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া। নগরীর ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, গাজীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি মীর হালিমুজ্জামান ননী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাজী মাহবুবুল হক গোলাপ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান এলিস, এম এইচ রহমান হাফিজ, হাসিবুর রহমান মুন্না, যুবনেতা জাহিদ, কাউসার মোল্লা, রুবেল হোসেন, ছাত্র নেতা সোহেল রানা, মারজুক আহমেদ, আল আমিন, হাসান মাহমুদ প্রমুখ।
এদিকে ২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন সামসুল আলম তোফা। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শিল্পী বেবী নাজনিন। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট শামসুজ্জামান দুদু। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। ৫২ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের নেতৃত্বে গাজীপুরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ, নির্বাহী সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব, ঢাকা উত্তর জাসাসের সাবেক আহ্বায়ক ডা. আরিফুর রহমান মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা এম এ কালাম, ড. নিজাম উদ্দীন নিজাম। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রফিক শিকদার। ২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ, ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক লায়ন হারুনুর রশিদ। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করেন কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খান, সালাহ উদ্দিন শিশির, এনামুল হক বিপ্লব। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন হেলালুজ্জামান তালুকদার। নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপির পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী, তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপি নির্বাহী কমিটির সহধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দ দাস অপু, নির্বাহী সদস্য দেবাষীশ রায় মধু। ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন সেলিম রেজা হাবিব, ছাত্রদলের আনিছুর রহমান, তালুকদার খোকন প্রমুখ।
নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ। ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন কর্নেল (অব.) লতিফ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স ধানের শীষের পক্ষে ভোট চান।
ধানের শীষের প্রচারণায় ছাত্রদল
আজ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বস্তরের মানুষের কাছে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আহমেদ সাইমুম নির্বাচনী প্রচার চালান। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে এবং উন্নয়ন সমৃদ্ধ যানজট, মাদক, সন্ত্রাস ও দুষণমুক্ত শিক্ষাবান্ধব বাস উপযোগী মহানগর গড়তে ২০ দলীয় জোট মনোনীত বিএনপির প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকারকে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার উদাত্ত আহ্ববান জানান। নির্বাচনী এলাকার ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চান শাহীনুর সাগর, গোলাম ফারুক, হাসান আল আরিফ, জেসমিন সুলতানা জুঁই, ওয়াসিম মুক্ত, নাহিয়ান মারুফসহ ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃবৃন্দ।
বিএনপি নেতারা কী বলছেন
দুপুরে নগরীর কাশিমপুর এলাকায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীর গণসংযোগে গিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, এখন একটা ট্রেডিশন হয়ে গেছে যে নির্বাচনের কথা বলে আগের দিন রাতে পুলিশ প্রশাসন দিয়ে ব্যালট কেটে বাক্সে ঢুকানো, যেটা খুলনায় হয়েছে। খুলনায় যে স্টাইলে তারা নির্বাচন করে তাদের মেয়র নির্বাচিত করেছে, আমার মনে হয় গাজীপুরের জনগণ এটা মেনে নেবে না। কারণ এ এলাকার মানুষের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সবার জানা আছে। স্বাধীনতার যুদ্ধে এ এলাকার মানুষ সবার আগে ১৯ মার্চ লাঠিসোঁটা নিয়ে তৎকালীন পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। আমি মনে করি এ গাজীপুরে যদি খুলনার স্টাইলে ভোট লুটপাট ও ভোট ডাকাতির ষড়যন্ত্র করা হয়, আমি বিশ্বাস করি গাজীপুরের মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধে যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে, ঠিক একইভাবে গাজীপুরের মানুষ এ নির্বাচন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে রাস্তায় ঝাঁপিয়ে পড়বে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমাদের শেষ সাক্ষাতে যখন গিয়েছিলাম তখন নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, আপনাদের জন্য গাজীপুর হচ্ছে শেষ সুযোগ। গাজীপুরের নির্বাচনে আপনারা যদি খুলনার নির্বাচনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেন তাহলে আপনাদের অধীনে জাতীয়তাবাদী দল কোনো নির্বাচন তো দূরের কথা এমনকি মাদ্রাসায়-স্কুল কমিটির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
পুলিশী হয়রানি ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ
বিভিন্ন ওয়ার্ডে পুলিশি হয়রানি ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
বিএনপির অভিযোগ, বিকেলে নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে গাজীপুরের গোয়েন্দা পুলিশ বিএনপির কর্মী কোরবান আলী ও জাহিদকে গ্রেপ্তার করে। চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সম্পাদক মনির হোসেনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে হয়রানি করেছে। ছাত্রনেতা আতাউর ও মুকুলের বাড়িতেও পুলিশ হয়রানি করেছে।
আজ রোববার দিবাগত রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণাও শেষ পর্যায়ে। নির্বাচনে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএপির মাঝেই মূলত প্রতিদ্বন্দিতা হবে। অপর দলের প্রার্থীরাও নির্বাচনের মাঠে তাদের গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করে দেখতে চায়।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় গত ৩১ মার্চ। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৫ মে এ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতাকে কেন্দ্র করে হাইকোর্ট গত ৬ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেয়। এতে স্থগিত হয়ে যায় নির্বাচনী সব ধরনের কার্যক্রম। পরে হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী এবং নির্বাচন কমিশন। শুনানি শেষে ওই স্থগিতাদেশ স্থগিত করে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার আদেশ দেন উচ্চ আদালত। উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৬ জুন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে দ্বিতীয় দফায় ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। নতুন ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী প্রার্থীরা আজ ১৮ জুন থেকে এ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকরা।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীসহ সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে ছয়জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়াও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডের সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ২৫৪ জন এবং ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৮৪ জন প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারের নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ এবং নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১।