প্রতিবেশীর শিশুকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি, পরে উদ্ধার
ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে চুরি করার দুদিন পর তিন বছর বয়সী শিশু নিহানকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
চুরির পর শিশুটিকে মাত্র ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন অপহরণকারী খাইরুন বেগম।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় ভাঙ্গারী দোকানের কর্মচারী বিল্লাল হোসেন ও তাঁর স্ত্রী গার্মেন্টস শ্রমিক মাহিনুর তাঁদের তিন বছরের সন্তান নিহানকে নিয়ে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। তাঁদের পাশের ঘরেই ভাড়া থাকতেন খাইরুন বেগম (৪০) নামের এক নারী। পাশাপাশি ভাড়া থাকার সুবাদে তাঁদের ঘরে খাইরুন বেগমের ছিল অবাধ যাতায়াত।
কিন্তু গত শনিবার সকালে নিহানকে খাইরুনের সঙ্গে বাসায় রেখে বিল্লাল ও মাহিনুর তাঁদের কর্মক্ষেত্রে চলে যান। দুপুরে বাসায় ফিরে সন্তানকে না দেখে তারা ভয় পেয়ে যান।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে গতকাল রোববার খাইরুনকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় তারা অভিযোগ দায়ের করেন। মোবাইল ট্র্যাকিং করে গতকালই ঢাকা থেকে খাইরুনকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর তিনি মাদারীপুরের শিবচরে নিজের নিঃসন্তান ফুপাতো বোন লাকীর কাছে শিশুটিকে বিক্রির কথা জানান।
স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, আজ সকালে পুলিশ জেলার শিবচরের উমেদপুর ইউনিয়নের চান্দেরচরের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় লাকীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় লাকী ও তাঁর পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়।
পরে দুপুর ১২টার দিকে উপপরিদর্শক (এসআই) মুকুল রঞ্জনের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের একটি দল শিশুটিকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।
এসআই মুকুল রঞ্জন বলেন, ‘শিশুটিকে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছিলেন খাইরুন। শিশুটিকে শিবচর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিস্তারিত ঢাকায় গিয়ে জানানো হবে।’