শরীয়তপুরে সেপটিক ট্যাংক থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় নির্মাণাধীন একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার চাকধ গ্রাম থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নড়িয়া থানা পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গ্রামের বাসিন্দা মো. আলী মোড়লের নির্মাণাধীন একটি ভবনের কাছে এক রকম অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দ শুনতে পান পাশের বাড়ির লোকজন। অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় পরে তারা গ্রামের আরো কিছু বাসিন্দাকে ডেকে ভবনটির কাছে যান। সেখানে পৌঁছালে ভবনের পেছন অংশে রক্তের ছাপ দেখতে পান তারা। সেই চিহ্ন ধরে সেপটিক ট্যাংক পর্যন্ত গেলে তার ভেতরে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এই ঘটনায় এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের সহায়তায় রাত ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে। পরে নিহতের নানি মনোয়ারা বেগম লাশটি শনাক্ত করেন।
নিহত গৃহবধূর নাম ইভা আক্তার (২০)। তিনি নড়িয়া উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামের মান্না শেখের মেয়ে।
স্বামী দেলোয়ার ছৈয়াল ইভাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছে ইভার পরিবার।
নিহতের নানি মনোয়ারা বেগম বলেন, প্রায় দুই মাস আগে চাকধ গ্রামের দেলোয়ার ছৈয়াল প্রেমের সূত্রে ইভাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে ইভাকে তাঁর বাড়িতেই রেখে দেন দেলোয়ার।
মনোয়ারা বেগম জানান, গতকাল সোমবার বিকেলে ফোন মারফত ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ইভাকে ডেকে নেন দেলোয়ার। তার পর পরই রাতের বেলা এই লাশ পাওয়া গেল। দেলোয়ারকে হত্যাকারী অভিযোগ করে তাঁর বিচারের দাবি তোলেন মনোয়ারা বেগম।
এদিকে ঘটনার পর থেকে দেলোয়ার ছৈয়াল পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, সোমবার রাতে ইভা নামের এক গৃহবধূর লাশ একটি সেপটি ট্যাংকের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যেই লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে জানান তিনি।
ওসি আসলাম উদ্দিন আরো জানান, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত দেলোয়ার ছৈয়ালের মা ছাহেরা বেগমকে আটক করা হয়েছে।