শিক্ষকদের আমরণ অনশনে চরমোনাই পীরের সমর্থন
নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের আমরণ অনশন কর্মসূচির সঙ্গে একমত পোষণ করে সমর্থন জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
আজ শনিবার দুপুর ১২টা দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম শিক্ষকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন।
এ সময় পীর বলেন, ‘শিক্ষকরা জাতির সবচেয়ে সম্মানের পাত্র। তাঁরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমরা সরকারকে বলব, অনতিবিলম্বে শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া পূরণ করুন। শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি। একইসঙ্গে তাঁদের জন্য দোয়া কামনা করছি।’
এদিকে, অনশনরত অনেক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে তাঁদের পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া অনেক শিক্ষককে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে।
গত ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্তির দাবি জানান শিক্ষক নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, বাজেটে এমপিওভুক্তির সুস্পষ্ট কার্যকর পদক্ষেপের কথা বলা হয় নাই। গত ২৫ জুন থেকে তাঁরা আমরণ অনশন শুরু করেন।
সারা দেশে পাঁচ হাজার ২৪২টি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি) কর্মরত প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্তির দাবিতে গত ৫ জানুয়ারি অনশন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে একান্ত সচিব মো. সাজ্জাদুল হাসান, শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইনকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তবে ২০১৮-১৯ প্রস্তাবিত বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, এমপিওভুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়নি। খবরটি সারা দেশের নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষকরা আহাজারি-আর্তনাদে ও বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
তাই আগের ঘোষণা অনুযায়ী, ১০ জুন রমজান মাসে সারা দেশ থেকে আসা শিক্ষকরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান গ্রহণ করেন। শিক্ষকরা পুলিশি বাধা, গ্রেপ্তার, বৃষ্টি-বাদল, রোদ ও ভ্যাপসা গরম, রাতে মশার কামড় খেয়ে রাজপথের ফুটপাতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।