রাজশাহীতে লিটনের বিজয় নিশ্চিত : নানক
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) এবারের নির্বাচনে ১৪ দলের মেয়র পদপ্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের বিজয় নিশ্চিত বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংসদ জাহাঙ্গীর কবির নানক।
আজ সোমবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তনে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন নানক।
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দল আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নানক বলেন, ‘২০০৮ সালে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা পরাজিত হয়েছিলাম। কেন পরাজিত হয়েছিলাম? নিজেদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন। শুধু আমার সামনে যারা বসে আছেন তাঁরা নন, এই মঞ্চে যারা বড় বড় নেতা আছেন তাঁদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখতে হবে কেন সেদিন হেরে গিয়েছিলাম। শুধু কর্মীদের শপথ নিলে হবে না, আল্লাহকে হাজির নাজির করে এই মঞ্চে যারা বসে আছেন তাঁদেরও শপথ নিতে হবে যে, আগামী নির্বাচনে এক আত্মা এক প্রাণ হয়ে নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গত নির্বাচনে আমাদের নেতাদের মধ্যে অনৈক্য ছিল, গা ছাড়া ভাব ছিল। এখন তা নেই। নেত্রী এ খবর পেয়ে খুব সন্তুষ্ট। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আগামীর মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।’
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংসদ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে আমরা চারটি সিটি করপোরেশনে জয়লাভ করেছিলাম। জয়ের সেই ঢেউ দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে ছড়িয়েছিল। এবার রাজশাহী সিটিতে জয় পেলে এ অঞ্চলের ৭২টি সংসদীয় আসনে জয় আসবে।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘রাজশাহী সিটিতে জয় পেতে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলা ঐক্যবদ্ধ। আমরা জয়লাভ করব। আমরা জয়ের শেষপ্রান্তে। কারণ আমরা কথা রেখেছি। আওয়ামী লীগ জনগণকে যে কথা দেয়, তা রাখে। সে জন্যই মানুষ জামায়াত-বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। খুলনা, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে তা প্রমাণিত হয়েছে।’
দলের মেয়র প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার ব্যাপারে আবার অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র নির্বাচিত হলে বস্তি উচ্ছেদ করে পার্ক করা হবে। ব্যবসায়ীদের নিঃস্ব করা হবে। এ ধরনের অপপ্রচার শুনলে দলের নেতাকর্মীদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে।’
সভায় সাবেক ছাত্রনেতা আমিনুল ইসলাম মিলন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন, নুরুল ইসলাম ঠান্ডুও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।
সভায় রাজশাহী-৪ আসনের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনের সাংসদ কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাংসদ গোলাম মোস্তফা, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ আক্তার জাহান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিনাতুন নেসা তালুকদার, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার উপস্থিত ছিলেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার সভা পরিচালনা করেন।