সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
মিথ্যা হলফনামার মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের মামলায় ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা মো. হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুইয়ের আদালতে এ অভিযোগপত্রটি উপস্থাপন করা হয়েছে। বিচারক মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী জহুরুল হাসান এনটিভি অনলাইনকে জানান, গতকাল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি মো. হাফিজ ইব্রাহিম রাজউকের গুলশান ও বনানী আবাসিক এলাকায় প্লট বরাদ্দের জন্য আবেদন করেন।
ওই আবেদনের দাখিলকৃত হলফনামায় হাফিজ ইব্রাহিম উল্লেখ করেন, বৃহত্তর ঢাকা মহানগরীর রাজউকের আওতাধীন এলাকায় কোথাও তার নিজের নামে, স্ত্রী ও নির্ভরশীল ছেলে-মেয়ের নামে কেনা বা উত্তরাধিকার সূত্রে কোনো আবাসিক জমি কিংবা ফ্ল্যাট নেই। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৫ সালের ৮ মে তাঁর নামে বনানী আবাসিক এলাকায় প্লট বরাদ্দের একটি সাময়িক বরাদ্দপত্র প্রদান করা হয়। এরপর তিনি ওই প্লট চূড়ান্তভাবে বরাদ্দ পাওয়ার জন্য আগের হলফনামার মতো একটি হলফনামা দাখিল করেন।
২০০৫ সালের ১০ জুলাই বনানী আবাসিক এলাকা থেকে বর্তমান লে আউট প্ল্যান মোতাবেক ১/এ নং রাস্তার প্রায় ৫ কাঠা আয়তন বিশিষ্ট ৬ নম্বর প্লটটি তার নামে চূড়ান্তভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০০৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাজউক তাঁর নামে ওই প্লটের একটি লিজ দলিল সম্পাদন করে। বর্তমানে তিনি ওই প্লট ভোগদখল করছেন।
২০১৭ সালের ১৩ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল থানায় দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে সাবেক সাংসদ মো. হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
পরবর্তীতে তদন্তে মিথ্যা হলফনামার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য মো. হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।