আগামী ১৪ জুলাই থেকে হজ ফ্লাইট, এজেন্সিগুলো ‘সতর্ক’
আগামী ১৪ই জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে এ বছরের হজ ফ্লাইট। সোয়া লাখেরও বেশি যাত্রী এবার হজব্রত পালনে সৌদি আরব যাবেন। যার অর্ধেকই পরিবহন করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। গত বছরের ভোগান্তি আর দুর্ভোগ বিবেচনায় নিয়ে এবার বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হজ এজেন্সিগুলো।
পবিত্র হজ পালনের জন্য এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ৯৮ সৌদি আরব যাবেন। আর এর মধ্যে ৬৪ হাজার ৫০০ জন যাত্রী পরিবহন করবে বাংলাদেশ বিমান। বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বহরের নিজস্ব চারটি বোয়িং দিয়ে ১৪ই জুলাই থেকে ১৫ই আগস্ট পর্যন্ত ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করা হবে। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে নয়টি ও সিলেট থেকে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। এবারই প্রথম জেদ্দা ছাড়াও ঢাকা থেকে পাঁচটি ও চট্টগ্রাম থেকে তিনটি ফ্লাইট সরাসরি মদিনায় যাবে।
গতবার যাত্রীর অভাবে বিমানের ২৪টি ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় এবার যাত্রার তারিখ পরিবর্তন করলে বাড়তি মাশুল দেওয়ার বিধান রেখেছে বিমান। তবে তাও নির্ভর করবে আসন থাকা সাপেক্ষে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, ‘সৌদি সরকার এ বছর আমাদেরকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, এই বছর বাড়তি কোনো স্লট দেওয়া হবে না। যদি কোনো যাত্রী বা কোনো ফ্লাইট আমাদের যাত্রীর অভাবে বাতিল হয়ে যায়, পরবর্তীতে সেই ব্যক্তি বা সেই ফ্লাইটের যাত্রীদেরকে হজে যাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। কারণ আমাদের হাতে কোনো বাড়তি স্লট থাকবে না। এ বছর সৌদি সরকার যে নিয়মটি করেছে, যাত্রার ৭২ ঘণ্টা পূর্বে প্রত্যেকটি যাত্রীর সকল তথ্য, আমাদেরকে সৌদি আরবে পাঠাতে হবে। কোনো কারণে যদি আপনারা যাত্রা না করতে পারেন, সেক্ষেত্রে একশ ডলার থেকে দুইশ ডলার অতিরিক্ত মাশুল দিতে হবে।’
গত বছরের ভোগান্তি আর দুর্ভোগ বিবেচনায় নিয়ে এবার বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হজ এজেন্সিগুলো।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) জানিয়েছে, এজেন্সিগুলোকে এবার আগেভাগেই বিমান টিকেট কিনে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাবের মহাসচিব শাহাদাত হোসেইন তসলিম বলেন, ‘আগেই হজ যাত্রীদের টিকেট কেটে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে এবং সেটা ইনফোর্স করা হচ্ছে। প্রথম দুই সপ্তাহে আমি বলব যে, সব টিকেট সোল্ড আউট। বাংলাদেশ থেকে কিন্তু হাজির সংখ্যা বেশি। বেশি হওয়ার কারণেও কিন্তু এ কাজগুলো সামলাতে গিয়ে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি, কিছু কিছু অব্যবস্থাপনা থাকাটা অসম্ভব নয়। তারপরেও এ বছর আমরা মনে করি, এ বিড়ম্বনা থেকে আমরা নিষ্কৃতি পাব।’
এছাড়াও হজযাত্রীদেরও সময়মতো সব কাগজপত্র বুঝে নিতে তাগিদ দিয়েছেন শাহাদাত হোসেইন।
হজযাত্রীদের উদ্দেশে শাহাদাত বলেন, ‘আপনারা সরাসরি এজেন্সির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পরিশোধ করে রশিদ সংগ্রহ করবেন। অথবা এজেন্সিকেও যদি আপনি টাকা দেন, তাও আপনি পাকা মানি রিসিট নিয়ে রাখবেন। কোনো ভাবেই কোনো মধ্যস্বত্ত্বভোগীর কাছে টাকা দিবেন না।’