ইঁদুর মারার ওষুধে প্রাণ গেল শিশুর
খাবারের তাকে ছিল ইঁদুর মারার ওষুধ। খাবার মনে করেই তা মুখে দিয়েছে দুই শিশু। যাদের একজনের বয়স তিন, অন্যজনের আড়াই। ওই ওষুধ খেয়ে শিশুদের একজন মারা গেছে, অন্যজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আজ বুধবার মিরপুরের শাহ আলীবাগে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশুর নাম আবদুল্লাহ আল আমিন (৩)। ওই ওষুধ খেয়ে অসুস্থ ইশা মনির বয়স আড়াই বছর। শিশুটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আছে। উভয়ে সম্পর্কে একে অপরের মামাতো-ফুপাতো ভাইবোন।
শিশু আবদুল্লাহর বাবা শাহজাহান মিয়া সাভার হেমায়েতপুরের একটি পোশাক তৈরি কারখানায় কাজ করেন। আর মা জান্নাতুল ফেরদৌসি গৃহবধূ। তাদের একমাত্র ছেলে আবদুল্লাহ। শাহ আলীবাগে একটি বাসায় ভাড়া থাকেন তাঁরা।
অন্যদিকে ইশা মনির বাবা মোহাম্মদ রানা একজন বাসচালক। মা নাসিমা আক্তার পোশাক কারখানায় গার্মেন্টসকর্মী। তাঁরা আবদুল্লাহদের পাশের বাসাতেই থাকেন। কাজে যাওয়ার আগে নিয়মিতই ইশাকে তার ভাই শাহজাহানের বাসায় রেখে যান বলে জানান ইশার মা নাসিমা আক্তার।
শিশু আবদুল্লাহর মা জান্নাতুল ফেরদৌসি জানান, দুপুরে রুমে আবদুল্লাহ ও ইশা খেলছিল। তিনি ঘুমাচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর আবদুল্লাহ কান্নাকাটি করে তাকে ডাকতে থাকে। তিনি দেখেন দুই শিশুর মুখ দিয়েই লালা ঝরছে। তিনি দ্রুত তাদের স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে দুজনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুল্লাহ মারা যায়।
জান্নাতুল ফেরদৌসি বলেন, ‘কিছুদিন আগে ইঁদুর মারার জন্য ওষুধ কিনে এনেছিলাম। আর তা রেখেছিলাম খাবার রাখার তাকের ভিতর।’ তিনি জানান, ওই ওষুধই খাবার মনে করে খেয়েছে ওই দুই শিশু।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, আবদুল্লাহর লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। আর ইশা হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি আছে।