রাজশাহী বিএনপির দুর্গ : মিনু
বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, ‘রাজশাহীকে খুলনা বা গাজীপুর ভাবলে ভুল করবে সরকার। রাজশাহীর মাটি শহীদ জিয়ার ঘাঁটি। রাজশাহী বিএনপির দুর্গ। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনেও এখানে নৌকার ভরাডুবি হয়েছিল।’
বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মিজানুর রহমান মিনু। রাজশাহী সিটির এই সাবেক মেয়র বর্তমানে বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক।
মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘আমাদের তিন স্তরের কর্মী আছে। আমরা নেতৃবন্দ জীবন বাজি রেখে, জীবন উৎসর্গ করে কারাগারে গিয়ে হলেও আমরা রাজশাহীবাসীর ভোটে আমাদের মেয়র প্রার্থী মোসেদ্দেক হোসেন বুলবুলকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে আনব।’
মিজানুর রহমান বলেন, ‘অযোগ্য ও অথর্ব বর্তমান নির্বাচন কমিশন রাজশাহীতে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে ১০০ ভাগ ব্যর্থ হয়েছে।’ রাজশাহী মহানগর পুলিশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘পুলিশ বিএনপির শতাধিক কর্মীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। ২৯ কর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করেছে।’
নির্বাচন উপলক্ষে একটি বিশেষ এলাকার কতিপয় অতি উৎসাহী চিহ্নিত পুলিশ কর্মকর্তাকে রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়েছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে তারা নির্বাচনী মাঠে কাজ করছে।’ সাধারণ পুলিশ সদস্যরা এর সঙ্গে জড়িত নেই উল্লেখ করে মিনু বলেন, ‘রাতের বেলায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীর পোস্টার, ফেস্টুন নষ্ট ও ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। সরকারি দলের কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। আর এর সবই হচ্ছে পুলিশ বাহিনীর ওই বিশেষ কিছু কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ ইন্ধনে।’
সংবাদ সম্মেলনে মিনু বলেন, ‘ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মীরা ভোটারদের ধানের শীষে ভোট দিতে নিষেধ করছে। এমনকি ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য ভয় দেখাচ্ছে। সেই সাথে ভোটকেন্দ্রে গেলেও নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।’
এ সময় মিনু বলেন, ‘রাজশাহী শান্তির শহর। কিন্তু সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থী ও তাঁর দোসরদের জন্য রাজশাহীর পরিবেশ ইdkমধ্যে গরম হতে শুরু করেছে। বিএনপি কখনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে না। কারো পোস্টার ছিঁড়ে না, কারো জমি দখল করে না, টেন্ডারবাজি করে না, কমিশন খায় না। এগুলো সরকার দলের লোকজনের কাজ। তারা এসব কাজ করে টাকার পাহাড় গড়েছে।’
মিনু বলেন, ‘যতই গ্রেপ্তার, মামলা ও হুমকি আসুক না কেন, বিএনপি নির্বাচনী মাঠে থাকবে এবং জীবন উৎসর্গ করে হলেও ২০দলীয় জোটের প্রার্থীকে বিজয়ী করবে।’ তিনি বলেন, ‘রাসিক নির্বাচনে কোনোভাবেই আওয়ামী লীগকে ভোটকেন্দ্র দখল বা জাল ভোট প্রদান করতে দেওয়া হবে না। প্রতিটি কেন্দ্র কঠোরভাবে পাহারা দেওয়া হবে এবং ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীরা কেন্দ্র পাহারা দেবে। পোলিং এজন্টেরা ভোট গণনা করে ফলাফর ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত যেকোনো মূল্যে বুথে অবস্থান করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, বিএনপির প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপুসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।