যে ৬ কৌশলে প্রশ্ন ফাঁস হয়নি
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ছয়টি কৌশল গ্রহণ করায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন মন্ত্রী এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস রোধে আমরা এবার ৬টি কৌশল নিয়েছি। কৌশলগুলো সফল হওয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করা সম্ভব হয়েছে।’
নাহিদ বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, পরিশোধন, মুদ্রণ, প্যাকেটজাতকরণ, ট্রাংকজাতকরণ ও কেন্দ্রে পাঠানোসহ প্রতিটি স্তরেই কঠোর নজরদারি, সতর্কতা এবং বেশ কিছু কৌশল অবলম্বণ করা হয়েছে।
ছয়টি কৌশল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসনগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ২. পরীক্ষার দিন ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্রের সব সেট পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে আনা হয়েছে। ৩. ট্রেজারি থেকে পুলিশসহ তিনজন কর্মকর্তার মাধ্যমে কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পৌঁছানো হয়েছে। ৪. পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে সেট কোড পাঠানো হয়েছে। ৫. বিশেষ নিরাপত্তা খামে প্রশ্নপত্র সংরক্ষণ করা হয়েছে। ৬. পরীক্ষা চলাকালীন পুলিশসহ র্যাব, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন অধিদপ্তর, সব বোর্ড, জেলা ও মাঠ প্রশাসনের ভিজিল্যান্স টিমের কঠোর নজরদারি ছিল।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গৃহীত এ কৌশল সফল করতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মাধ্যমে গঠিত মনিটরিং সেল কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
বেলা ১টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনের আগে শিক্ষামন্ত্রী সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ৮টি সাধারণ বোর্ডসহ ১০ বোর্ডের ফলাফল তুলে দেন।
এ বছর প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমানের ফলে দেখা গেছে, পাসের হার ও জিপিও ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যার আগেরবারের তুলনায় কম। এবার ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গতবার এটা ছিল ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। এ ছাড়া এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ১৬২ জন শিক্ষার্থী। গতবার এটা ছিল ৩৭ হাজার ৯৬৯ জন।