রাজধানীতে ধর্ষণের তিন মামলায় চারজনের জামিন
রাজধানীতে ধর্ষণের তিন মামলায় চার আসামির জামিন দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে একটি শিশুকে ধর্ষণের মামলায় দুই আসামির জামিন হয় আজ।
রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার ১১ বছরের এক শিশু ধর্ষণের মামলায় দুই আসামির জামিন দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো এ জামিনের আদেশ দেন। আসামি দুজন হলেন, মো. ঝন্টু (২৪) ও মো. মোফাজ্জল হোসেন (১৯)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, শিশুটির দাদা আব্দুর রশিদ আসামিদের দ্বারা শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়নি বলে আদালতে আপসনামা দাখিল করেছেন। এজন্য আদালত আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী দেলোয়ার হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
উত্তরা পূর্ব থানার নথি থেকে জানা যায়, ১১ বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৩ জুন মামলা দায়ের করেন শিশুটির দাদা আব্দুর রশিদ।
এজাহারে বলা হয়, শিশুটি উত্তরার এক বাসায় কাজ করতো। গত ১ জুন রাতে ওই বাসা থেকে শিশুটি পালিয়ে যায়। এরপর ওইদিন রাত দেড়টার দিকে উত্তরা পূর্ব থানাধীন একটি এলাকায় নির্মানাধীন বাড়ির নিচ তলায় আসামি মোফাজ্জলের সহায়তায় আসামি ঝন্টু শিশুটিকে ধর্ষণ করে।
মামলাটিতে গত ৩ জুন আসামিরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যায়। আজ বৃহস্পতিবার ধর্ষিতা শিশুর দাদা মামলার বাদী আসামিদের দ্বারা শিশুটি ধর্ষিত হয়নি এবং ভুল বুঝাবুঝিতে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয় বলে আপসনামা দেন। তাই মামলার আসামিরা জামিন এবং খালাস পেলে বাদীর আপত্তি নেই মর্মে হলফনামা দিলে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।
তবে এর আগে ধর্ষিতা শিশু নিজেই আদালতে আসামিদের দ্বারা ধর্ষিত হওয়ার বিষয়ে বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেয়।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার আরো দুটি ধর্ষনের মামলার আসামিদের সিএমএম আদালত থেকে জামিন হয়েছে।
কদমতলী থানার ৫৯(৭)২০১৮ নম্বর মামলার আসামি মো. ফয়সাল (৩৩) ও তেজগাঁও থানার ৫৯(৬) ২০১৮ নম্বর মামলার আসামি দ্বিপ রোজারিও জামিন পেয়েছেন।
কদমতলী থানার মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত ‘ভিকটিম’কে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ কর আসছিল আসামি ফয়সাল।
অন্যদিকে তেজগাঁও থানার নথি থেকে জানা যায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন সময় এবং সর্বশেষ গত ১৪ জুন আসামি দ্বিপ রোজারিও এক নারীকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের ফলে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। ধর্ষণের শিকার নারী নিজেই মামলা দায়ের করেন। মামলায় গত ১ জুলাই আসামি দ্বিপ রোজারিও গ্রেপ্তার হন। এরপর ১৮ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার তিনি জামিন পেলেন।