ছেলেকে হত্যার দায়ে মায়ের যাবজ্জীবন
লক্ষ্ণীপুরের মুরাদুল ইসলাম সুমনকে (২২) হত্যা করতে তিনজনকে ভাড়া করা হয়েছিল। ৯০ হাজার টাকা দিয়ে ওই তিনজনকে ভাড়া করেন সুমনের মা হাসিনা বেগম, সঙ্গে ছিলেন সুমনেরই ভাই সোহেল!
পাঁচজন মিলে সুমনকে হত্যা করে তাঁর লাশ ফেলে রাখে একটি ডোবায়!
২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাহাপুর এলাকার মুরাদুল ইসলাম সুমন। দুইদিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি পাশের বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের রাধাপুরের একটি ডোবায় সুমনের লাশ পাওয়া যায়।
আজ মঙ্গলবার ওই হত্যা মামলার রায় দেন লক্ষ্ণীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত। মামলায় নিহত সুমনের মা হাসিনা বেগম ও ভাই সোহেলসহ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. এ কে এম আবুল কাশেম ওই রায় দেন। রায়ের সময় আদালতে সাদ্দাম নামের এক আসামি উপস্থিত ছিলেন। নিহত সুমনের মা ও ভাইসহ অন্যরা পলাতক।
লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জসীম উদ্দিন এসব বিষয় জানান।
কারাদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, কমলনগর উপজেলার চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের মো. সাদ্দাম হোসেন, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাহাপুর এলাকার আবদুর রহিম, ইসমাইল হোসেন ওরফে কালা ইসমাইল, নিহতের মা হাসিনা বেগম ও ভাই মো.সোহেল।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাহাপুর এলাকার মুরাদুল ইসলাম সুমন। দুইদিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি পাশের বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের রাধাপুরের একটি ডোবায় তাঁর লাশ পাওয়া যায়। পরদিন নিহতের মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে পুলিশ তদন্ত করে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দাম ৯০ হাজার টাকার বিনিময়ে পাঁচজন মিলে সুমনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
সাদ্দামের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার ওই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর আদালতে নিহতের মা ও ভাইসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পরে বাদী ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের দীর্ঘ শুনানিতে ১০ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ আদালত এ রায় জানান।