সেই জাবালে নূর পরিবহনের মালিক গ্রেপ্তার
রাজধানীতে দুই কলেজ শিক্ষার্থীর নিহত হওয়ার ঘটনায় এবার জাবালে নূর পরিবহনের এক বাসমালিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বুধবার সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র্যাব-১। এর আগে ওই পরিবহনের তিন চালক ও দুই সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া বাস মালিকের নাম শাহাদাত হোসেন (৬০)। তবে তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি র্যাব।
এদিকে আজ ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান জানান, মামলাটি এখন থেকে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম তদন্ত করবেন।
আনিসুর রহমান জানান, আজ এ মামলায় ‘মূলহোতা’ জাবালে নূর পরিবহনের চালক মাসুম বিল্লাহকে সাতদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে আগামী ৬ আগস্ট জাবালে নূর পরিবহনের বাসচালক জোবায়ের ও সোহাগ আলী এবং চালকের সহকারী এনায়েত হোসেন ও রিপন হোসেনের রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তাঁরা বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।
এদিকে আজ সকালে জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের নিবন্ধন ও ফিটনেস সনদ বাতিল করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
গত রোববার দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাস প্রতিযোগিতা করে মিরপুর থেকে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে আসছিল। এ সময় ফ্লাইওভারের শেষ দিকে, রাস্তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল একদল শিক্ষার্থী। এর মধ্যে একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নেমেই দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া আহত হয় বেশ কয়েকজন।
নিহতরা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম।
ওই ঘটনার পর থেকেই বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। রোববার থেকে টানা বিক্ষোভে রাজধানী ঢাকা প্রায় অচল হয়ে গেছে।
এ ঘটনায় নিহত দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ৩৩।