আলোকচিত্রী শহিদুল আলম কারাগারে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরী এ আদেশ দেন।
আদালতের সাধারন নিবন্ধন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পরিদর্শক আরমান আলী আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে হাজির করে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৫ আগস্ট রাতে শহিদুল আলমকে তাঁর ধানমণ্ডির বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দল। পরে তাঁর স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ বলেন, ‘শহিদুলকে ধরে নিয়ে গেছে ডিবি পরিচয়ে একদল লোক।’
এরপরে ডিবির পক্ষ থেকে শহিদুল আলম তাঁদের হেফাজতে আছেন বলে জানানো হয়। সোমবার বিকেলে ডিবি পুলিশের (উত্তর) পরিদর্শক মেহেদী হাসান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে রমনা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় শহিদুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই দিনই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আরমান আলী আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানান। পরে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আছাদুজ্জামান নূর শহিদুলকে সাতদিনের রিমান্ড দেন।
গত ৭ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদনের পর রিমান্ডের ওই আদেশ স্থগিত করে অবিলম্বে তাঁকে বিএসএমএমইউতে পাঠানোর নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।
হাসপাতাল থেকে শহিদুল আলমকে আবারও পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশে গত ৮ আগস্ট সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় শহিদুলকে। ওই দিন দুপুরের দিকেই তাঁকে আবার ডিবির কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।