নড়াইলে মামলায় খালেদা জিয়ার ছয় মাসের জামিন
স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে নড়াইলের আদালতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে দায়েরকৃত মানহানি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার বিচারপতি আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদিন ও এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসলাম হোসেন।
এর আগে এ মামলায় গত ৫ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় জামিন নামঞ্জুর করেছেন নড়াইলের আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম (বর্তমানে জেলা পরিষদ সদস্য) বাদী হয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে নড়াইল সদর আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করেন। ওই বছরেরই ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে খালেদা জিয়া তাঁর বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে বলে মন্তব্য করেন।
এ ছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি। তার এই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হয়।
মামলার বাদী নড়াইলের চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম নড়াইল জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে বসে এ খবর পড়ে মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ হন। পরে রায়হান ফারুকী বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমমি আদালতে মামলা দায়ের করেন।