ট্রাকচাপায় স্কুলছাত্রী নিহত, চালক-হেলপারকে গণপিটুনি
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় ট্রাকের চাপায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী নিহত হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে লোকজন ট্রাকটি ভাঙচুর করে এবং চালক ও হেলপারকে বেধরক পিটুনি দেয়। পুলিশ সদস্যরা দুজনকে উদ্ধার করতে গেলে লোকজন তাঁদেরও মারধর করে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে আশাশুনির হাজিপুর মোড়ে বদরতলা-কালিগঞ্জ সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত স্কুলছাত্রীর নাম তিথি স্বর্ণকার (১৩)। সে উপজেলার কাটাখালী গ্রামের পরিমল স্বর্ণকারের মেয়ে।
আশাশুনি থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. আক্তার হোসেন জানান, সকালে প্রাইভেট পড়ার জন্য তিথি বাড়ি থেকে বের হয়ে সাইকেলে করে বদরতলা স্কুলের দিকে যাচ্ছিল। হাজিপুর মোড়ের কাছে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তিথিকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা খেয়ে সড়কের ওপরে পড়লে একই ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় তিথি।
দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় জনগণ ও শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাকের চালক নূর আলী ও হেলপার মুন্নাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গণপিটুনির হাত থেকে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করে। এতে বিক্ষুব্ধ জনতা উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে মারধর করে। তাঁদের আশাশুনি ও সখিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক আক্তার হোসেন।
পুলিশ ধাক্কা দেওয়া ট্রাকটি (যশোর ট ১১-৩৩২৭ ) থানায় নিয়ে গেছে।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাফফরা তাসনিন ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ সহমর্মিতা জানাতে নিহত তিথির বাড়িতে যান। এ সময় তিথির বাবা পরিমল স্বর্ণকার ও পরিবারের অন্য সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়ে।
দুপুরের দিকে তিথির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।